ভিডিও

ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, ভূমি কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৭:০৬ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৭:০৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার জের ধরে ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন কালিয়াকৈর উপজেলার শাহবাজপুর ভূমি কার্যালয়ের আওতাধীন ঢালজোড়া ও আটাবহ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থেকে খাজনা-খারিজ দেওয়ার নামে নানাভাবে ঘুষ নিয়ে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সিগারেট ধরিয়ে ধুয়া ছাড়তে ছাড়তে সামনে বসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েকটি ৫০০ টাকার নোট হাতে নিচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন। এ সময় তিনি ওই ব্যক্তিকে বলছেন, ‘একটা মিস কেস পাঁচ হাজারের নিচে নেওয়া যায় না। কম্পিউটারে যে ছেলেটা কাজ করে, তাকেও ৫০০ টাকা দিতে হয়, তাইলে আমার কাজের একটা দাম আছে না।’

এরপর ওই ব্যক্তিকে ভূমি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘একটা আইডি খুলবেন। এরপর থেকে আপনাকে আর এখানে আসতে হবে না, অনলাইনে খাজনা দিতে পারবেন।’

অভিযোগ রয়েছে, এই ভূমি কর্মকর্তা শাহবাজপুর ভূমি অফিসে লিখিতভাবে যোগদানের আগেই একাধিক নামজারির কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি দুই বছর আগে একখন্ড সরকারি জমি ঘুষের মাধ্যমে একজনের নামে নামজারি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। ওই সময় তাকে সাত মাসের জন্য শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেন দরবার করে পুনরায় মামলা নিষ্পত্তি করেন। এরপর গত কয়েক মাস আগে তিনি আবার শাহাবাজপুর ভূমি অফিসে বদলি হয়ে আসেন। সেখানে যোগদান করে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একাধিক ব্যক্তির নামে ভুয়া নামজারি করে দেন। এতে নামজারি প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে টাকা লেন দেন হয় এই ভূমি কর্মকর্তার।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও এল এ) মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তার বলেন, আমরা এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছি। তাকে কর্মস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS