ভিডিও

মহাদেবপুরে অল্প খরচে অধিক লাভজনক উন্নত জাতের গম চাষ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৫:২৩ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৫:২৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত নওগাঁ জেলার অন্যতম খাদ্য ভান্ডার মহাদেবপুর উপজেলায় কৃষি ব্যবস্থায় ঘটছে পরিবর্তন। উন্নতজাত এবং অর্থকরী স্বল্প সময়ের ফসলের প্রতি দিন দিন ঝুঁকছে এ এলাকার কৃষকরা। অধিকাংশ কৃষক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প খরচে অধিক লাভজনক উন্নতজাতের খাদ্য শস্য গম চাষ করছে এ উপজেলার কৃষিকরা।

গত কয়েকবছর যাবত গমের বাম্পার ফলন ও অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় এ উপজেলার সচেতন কৃষকরা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের গম চাষে ঝুকছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও প্রতিটি গম চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

এটি মূলত শীত প্রধান দেশের ফসল হলেও আমাদের দেশে গম আবাদের ইতিহাস খুব বেশি দিন আগের নয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ গম গবেষণা কেন্দ্র দেশে গম আবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও কৃষকদের অবদান এক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কৃষিবিদগণ। কম সেচে অধিক ফসল উৎপাদনসহ রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় গম চাষে উৎপাদন ব্যয় কম। পাশাপাশি ধানের সাথে তুলনামূলকভাবে গমের দামও ভাল। ফলে কৃষক কম খরচে অধিক আয়ের লক্ষ্যে গম আবাদে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

এমনকি বোরো ধানের চেয়ে গম চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহারও কম। ফলে কৃষকের কম বিনিয়োগে আয় বেশি। বারি-৩২ ও ৩৩  জাতের গমে পোকার আক্রমণ কম হওয়ার ফলে ফলন ভালো হয়। তুলনামূলকভাবে অন্য জাতের গমের চেয়ে এসব জাতের গম চাষে উৎপাদন ব্যয় কম। ফলে কৃষকরা বারি-৩২ ও ৩৩ জাতের গম চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার ৩৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করেছে কৃষকরা। উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ২৪০ হেক্টর জমিতে বারি-৩৩ ও ১২০ হেক্টর জমিতে বারি-৩২ জাতের গম চাষ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান, ভূগর্ভের পানির স্তর ঠিক রাখতে ধান চাষের পাশাপাশি এ উপজেলার কৃষকদের গম চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকরা যেন গম চাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পরে সেই জন্য আমরা সর্বাক্ষণিক নজর রাখছি। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যয়ের কর্মকর্তাগণ কৃষকদের পাশে থেকে তাদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS