ভিডিও

ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাদকসেবীদের নিরাপদ আখড়া, বিপাকে রোগীরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১০:৫৫ রাত
আপডেট: মার্চ ০১, ২০২৪, ০৩:৪৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা, মাদকসেবী ও অসামাজিক কর্মকান্ডের নিরাপদ আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকায় বহিরাগত ও অযাচিত ব্যক্তিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও এখানে তা মানছে না কেউই। অপরাধীদের প্রকাশ্যে অবাধ বিচরণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এখানে কর্মরত চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, রোগী ও তার স্বজনরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলেও উন্নয়ন হয়নি এখানকার পরিবেশ। সন্ধ্যা গড়ালেই প্রতিদিন মাদকসেবীদের কয়েকটি চক্র সীমানা প্রচীরে ঘেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় বসে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক ছাড়াও সীমানা প্রাচীর টপকে মাদকসেবীরা অবাধে ভেতরে প্রবেশ করে।

এদের অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা ও চিহ্নিত মাদকসেবী। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকার কয়েকটি বাসা দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে। সেখানে লোকজন বসবাস করে না। এ কারণে জনশূন্য বাসাগুলো বর্তমানে মাদকসেবীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে।

এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এখানে কর্মরত ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া মাদকসেবীদের অত্যাচারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা লাগোয়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা জানান, সীমানা প্রাচীর টপকে বহিরাগত মাদকসেবীরা ভেতরে প্রবেশ করে। তারা এসব মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে মারমুখি আচরণ করে মাদকাসক্তরা।

পরিত্যক্ত এসব অরক্ষিত বাসা ও তার আশেপাশে দিনের বেলা মাদকসেবী, বখাটে, কিশোর গ্যাং ও টিকটকারদের আড্ডা বসে। স্কুল ও কলেজ ফাঁকি দিয়ে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা সেখানে ঢুকে মাদকসেবনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি এসব বখাটেরা অনেক নারীকেও উত্যাক্ত করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল বাসার বলেন, মাদকসেবীদের উপদ্রুপে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ নষ্টা হচ্ছে। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা মাদকসেবীদের ভয়ে থাকেন। চিকিৎসক, নার্সসহ সবাইকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। তারপর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS