ভিডিও

নন্দীগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষকের হাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত

শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের ক্ষোভ  

প্রকাশিত: মার্চ ০৩, ২০২৪, ০৬:৫৫ বিকাল
আপডেট: মার্চ ০৩, ২০২৪, ০৬:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে স্কুলের সীমানা দখল চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছেন দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের সাঁড়াদিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে।

এঘটনায় গত শুক্রবার সাঁড়া দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা (৫৫)। তিনি পাঠান গ্রামের মৃত শাহাদত আলীর ছেলে।

বিবাদীরা হলেন সাঁড়াদিঘড় এলাকার মৃত আনছার আলী মন্ডলের ছেলে সাঁড়া দাখিল মাদ্রাসার ক্বারী ইদ্রিস আলী এবং পাঠান মির্জাপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মাদ্রাসার কেরানী শহিদুল ইসলাম। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সাঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা ও নতুন ওয়াস ব্লক  ঘেঁষে  জোরপূর্বক বাঁশের  বেড়া (প্রতিবন্ধকতা) নির্মাণকাজ করছিলেন সাঁড়া দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ইদ্রিস ও শহিদুল।

স্কুলের সীমানা দখল করতে নিষেধ করার পরও কাজ বন্ধ না করায় বাধা দেন এবং দখল কাজের ভিডিও ধারণ করায় মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক। এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মাদ্রাসার ক্বারী ইদ্রিস আলী ও কেরানী শহিদুল ইসলামের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিবাদীরা ঘটনার পর থেকেই এলাকায় নেই । এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার  মো. হযরত আলী বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS