ভিডিও

‘আমার মাকে বাঁচান’ প্রতিমন্ত্রীর কাছে স্কুলছাত্রের খোলা চিঠি

প্রকাশিত: মার্চ ০৩, ২০২৪, ০৭:০৯ বিকাল
আপডেট: মার্চ ০৩, ২০২৪, ০৭:০৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: মায়ের একাধিকবার অপারেশন হয়েছে। প্রথমবার ভুল, দ্বিতীয়বারও সফল হয়নি অপারেশন। এখন তিনি মৃত্যুশয্যায়। সেই মাকে বাঁচাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসির বরাবর একটি চিঠি লিখেছে স্কুলছাত্র জাহিদুল ইসলাম জুবায়ের। সে গাজীপুরের শ্রীপুরের ১ নম্বর সিএন্ডবি বাজার এলাকার ‘আবদুল মালেক মাস্টার কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুল’-এর দশম শ্রেণির ছাত্র।

জুবায়েরের ওই চিঠি  রোববার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মাকে বাঁচাতে অপারেশন প্রয়োজন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চায় ওই শিক্ষার্থী।

প্রতিমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠিতে জুবারের লিখেছে, ‘আশা করি আপনি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। একটি প্রয়োজনে আপনার কাছে এ চিঠি লিখছি। জানি না এ চিঠি আপনার কাছে পৌঁছবে কি-না। তবে বিশ্বাস করি, এই চিঠি আপনি পেলে অবশ্যই পড়বেন।’

জুবায়েরের তিন বছর বয়সে তার বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় জানিয়ে সে লিখেছে, ‘আমরা খুব দরিদ্র। আমার মা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে হেলপার পদে চাকরি করতেন। তাতেই আমাদের সংসার চলে। এক বছর আগে আমার মায়ের জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়ে। মাওনা এলাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশ করা হয়। কিছুদিন পর সবাই বুঝতে পারে অপারেশনটি ভুল হয়েছিল। টিউমার অপারেশ করতে গিয়ে তারা টিউমারের সঙ্গে মূত্রথলী কেটে ফেলে। দ্বিতীয়বার অপারেশ করা হয় মগবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। অপারেশনটিও সফল হয়নি। আমার মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ। আসামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে অপারেশন করানো না গেলে মাকে বাঁচানো যাবে না। আপনার কাছে প্রার্থনা, আমার মায়ের পাশে দাঁড়াবেন।’

‘আমি এখনও খুব ছোট। মায়ের জন্য, পরিবারের জন্য কিছুই করতে পারি না। একদিন বড় হয়ে আমার মায়ের জন্য এবং দেশের জন্য কিছু করব। আমি আমার মাকে এখনই হারাতে চাই না। প্লিজ আপনি আমার মায়ের জন্য এগিয়ে আসুন।’

জুবায়েরের এই চিঠি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সাহায্যের করতে চাচ্ছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন অনেকে।

এই চিঠি প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসির কাছে পৌঁছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন। তিনি বলেন, ‘চিঠিটি হাতে পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। দ্রুতই ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন তিনি।’

আবদুল মালেক মাস্টার কিন্টার গার্টেন ও হাই স্কলের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, মায়ের অসুস্থতার কারণে জুবায়ের বেশ হশাতায় ভোগে। তিনি বলেন, তার অর্থকষ্ট দেখে স্কুলের পক্ষ থেকে সকল খরচ অর্ধেক করা হয়েছে। খবু বেশি সমস্যা হলে সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেওয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংশা বলেন, ‘আজই প্রথম অফিস করছি এই স্টেশেনে। তবে ওই অসহায় শিশু তার মায়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS