ভিডিও

দুই বছর পর মাদ্রাসা থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার আতঙ্কে আসছে না শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: মার্চ ০৫, ২০২৪, ১০:৪২ রাত
আপডেট: মার্চ ০৫, ২০২৪, ১০:৪২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে নিখোঁজের দুই বছর পর মাফিজুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের খুনের ঘটনা প্রকাশের পর গত রোববার তার মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়।

উপজেলার পৌর সদরে অবস্থিত চাঁচকৈড় বালিকা দাখিল মাদ্রাসার টয়লেটের মেঝে ভেঙে মাটি খুঁড়ে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছিলো। মরদেহ উত্তোলনের পর থেকেই বিদ্যালয়ে আসছে না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার খলিফাপাড়া মহল্লার মাফিজুল ইসলাম (২৫) নিখোঁজ ছিলেন। দু’বছর পর জানা যায় তাকে খুন করা হয়েছে। তার মৃতদেহ উপজেলার চাঁচকৈড় পুরানপাড়া এলাকার একটি বালিকা মাদ্রাসার সেপটিক ট্রাঙ্কের পাশে পুঁতে রাখা হয়।

অন্য একটি মামলায় কারাগারে আটক আল হাবিব সরকার (৩৫) নামে আসামি জাকির মুন্সি (৪০) নামে তার এক হাজতী বন্ধুর কাছে মফিজুলকে খুন করার গল্প বলে। ওই হাজতী জামিনে ছাড়া পেয়ে মাফিজুলকে খুন করার বিষয়টি নিহতের পরিবারকে জানালে তারা থানা পুলিশের আশ্রয় নেন। গত শুক্রবার রাতে নিহত মফিজুলের মা মাইনুর বেগম বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এঘটনায় মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী আবু তাহের খলিফা (৫৫) তার মেয়ে তানজিলা খাতুন (২৮) তার স্বামী আল হাবিব সরকার (৩৫) ও তাদের আত্মীয় আশরাফুল ইসলামকে (৪২) গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত তানজিলা খাতুন ও তার বাবা আবু তাহের খলিফাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি পুলিশের স্বীকার করেন তারা।

মাদ্রাসার সুপার মো. এমদাদুল হক জানালেন, আমাদের মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী আবু তাহের খলিফা দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়তো। তবে দুই বছর পূর্বে ওই জায়গাটিতে টয়লেট নির্মাণ করা ছিলো না। সেখানে বালু দিয়ে জায়গাটি প্রস্তুত করে রাখা ছিলো।

পরবর্তীতে সেখানে টয়লেট নির্মাণ হয়। এমনকি মেঝে ও ওয়াল টাইলস করা হয়েছিলো। গত রোববার (৩ মার্চ) টয়লেটের মেঝের টাইলস ভেঙে মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, একটি সচেতনতামূলক সেমিনার করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভাল হবে। তাই বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS