ভিডিও

এসটারিক্স জাতের আলু চাষে বেলালের বাজিমাত

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৬:৪১ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৬:৪১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : নিভৃত পল্লীর বেলাল হোসেন ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। সম্প্রতি অবসরে এসে নিজেই সেজেছেন কৃষক। প্রথমবারে দুই একর জমিতে বারি-২৫ (এসটারিক্স) জাতের আলু চাষ করে ৫ শতাধিক মণ আলু উৎপাদন করে ৩ লক্ষাধিক টাকা লাভ করেছেন তিনি।

বেলাল হোসেন বেতকাপা ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, কৃষি বিভাগে বেলাল হোসেন চাকরি জীবনে একাধিকবার বিভাগীয় সম্মাননা পেয়েছেন। কর্ম এলাকার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে অধিক ফলন পেয়ে দেওয়ায় এই সম্মাননা পান তিনি।

আর এখান থেকে স্বপ্ন বুনছিলেন নিজের জমিতে উন্নত জাতের ফসল নিয়ে এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করবেন। বর্তমানে ধানের রাজ্যে আলু উৎপাদনে এলাকাজুড়ে সাড়া ফেলছেন তিনি। এরইমধ্যে তার আবাদ করা আলু দেখতে আসছেন শত শত কৃষক।

আগামী বছর তারাও আলু চাষবাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক কৃষক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক বেলাল হোসেন দুই একর জমিতে বারি-২৫ (এসটারিক্স) জাতের আলু আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে ৯০ মণ।

এতে সার-শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দাম অনুয়ায়ী ৪ লক্ষাধিক টাকার আলু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রত্যেকটি আলুর ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম হয়েছে। এটি বাম্পার ফলন বলে এই কৃষকের দাবি।

বেলাল হোসেন জানান, নিজে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য এসটারিক্স জাতের আলু আবাদ করেছেন। অধিক ফলনও পেয়েছেন। স্বল্প খরচে এই আবাদ কেউ করলে অনায়াসে লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, দুই একর জমির উৎপাদিত আলু কোল্ড স্টোরে রাখা হচ্ছে। আগামী রবি মৌসুমে এসব বীজ হিসেবে কৃষকদের মাঝে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হবে। যাতে এলাকাটি আলুর রাজ্যে পরিণত হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS