ভিডিও

ধুনটে

যত্রতত্র পেট্রোল ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, ঘটছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৭:৪০ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৯:২৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : নীতিমালা লঙ্ঘন করে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রোল। অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প ছাড়া পেট্রোলজাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি জারিকেন ও বোতলে পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে। গত ১২ মার্চ সোনাহাটা বাজার এলাকায় এ ধরণের একটি জ্বালানি তেলের দোকানে অগ্নিকান্ডে সোয়া কোটি টাকার ক্ষতির পাশাপাশি দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সরকারিবিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, জ্বালনি তেল বিক্রির জন্য পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতাসংক্রান্ত লাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। কিন্ত এই আইনের তোয়াক্কা করছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন বেড়ে চলেছে এই ব্যবসা। কোমল পানীয়র পুরনো বোতলে ভরে পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দোকানের পেট্রোলের ক্রেতাদের অনেককে দোকানিরা চেনেন না। এটি খুবই বিপজ্জনক। দুস্কৃতিকারীদের হাতে পেট্রোল চলে যেতে পারে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরসহ মথুরাপুর, গোসাইবাড়ি, এলাঙ্গী, সোনাহাটা, জোড়শিমুল বাজার এলাকায় তুলার দোকান, ওষুধের দোকান, মুদির দোকান, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কের মোড়ে এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রোল কিনতে পারছেন। 

উপজেলার মথুরাপুর বাজারের একজন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। সারা দিনে দু-একটা সিলিন্ডার বিক্রি করি। এ আইন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। লোকজনের চাহিদা থাকায় ডিলারদের কাছ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে এসে বিক্রি করি।

ধুনট ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হামিদুল ইসলাম বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবসা করলে অবশ্যই তাকে লাইসেন্স নিতে হবে। সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রোল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। 

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরণের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS