ভিডিও

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করে জেলহাজতে কোহিনুর

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৭:২১ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৭:২১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের কোহিনুর আক্তার (৩৩)। আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ভাড়াটিয়া হয়ে পুরুষদের নামে ধর্ষণ মামলা করাই তার পেশা। তবে এবার একটি মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন জেল হাজতে রয়েছেন কোহিনুর। শনিবার দুপুরে কোহিনুর আক্তারকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পালগিরি উত্তরপাড়া বাড়ী থেকে কোহিনুরকে গ্রেফতার করেন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিন্টু কুমার। 
মিন্টু কুমার বলেন, তথ্য নিয়ে জানতে পারি কোহিনুর একজন যৌন কর্মী। তিনি নাজির উল্লাহ স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খারিজ করেন। পরে বাদী কোহিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত কচুয়া থানাকে অভিযোগটি মামলা আকারে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে আলোকে মামলাটি থানায় গ্রহণ করে কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। 
জানা গেছে, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধর্ষণ মামলার বাদী কোহিনুর। মামলায় তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্বামী দাবি করে যৌতুক মামলা করেন। তার এমন মিথ্যা ধর্ষণ মামলার শিকার একই উপজেলার রহিমানগর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে নাজির উল্লাহ স্বপন। 
মামলার বাদী নাজির উল্লাহ স্বপন বলেন, আমার আপন ভাই বুলন এর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে। ওই বিরোধকে আমার ভাই কাজে লাগানোর জন্য যৌন কর্মী কোহিনুর আক্তারকে দিয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করান। ওই মামলায় আমি তিন মাস কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হই। এরই মধ্যে আদালত আমার ডিএনএ টেস্ট করে ধর্ষণের আলামত পায়নি। ফলে গত ১৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করেন আদালত। এরপর আমি নিজে তার বিরুদ্ধে একই আদালতে ৪ মার্চ অভিযোগ করি। তার মামলার কারণে আমার আর্থিক, মানসিকভাবে হয়রানি ও সম্মানহানি হয়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে অনেক পুরুষ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে। 
জানা গেছে, কোহিনুর আক্তার নিজের স্বামী দাবি করে এ পর্যন্ত ঢাকা, কচুয়া ও শাহরাস্তির তিন ব্যক্তির নামে মামলা করেছেন। ১৫ মার্চ গ্রেফতারের পর সন্ধ্যায় শাহরাস্তির ব্যবসায়ী প্রদীপ সরকার নামে এক ব্যক্তি থানায় এসে নিজেকে কোহিনুরের স্বামী দাবি করেন। পরে এসআই মিন্টু কুমার তাকে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বললে তিনি আর আসেননি। 
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা নাজিল উল্লাহ স্বপনের মামলাটি এফআইআরভুক্ত করি। ওই মামলায় শুক্রবার কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার গতকাল দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS