ভিডিও

রাজশাহীর গাছে গাছে আমের মুুকুল সুবাসিত ঘ্রাণে মুগ্ধ মন

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৫:৫৫ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৪, ১২:০৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রোজিনা সুলতানা রোজি, রাজশাহী : আমের জন্য খ্যাত রাজশাহীর গাছে গাছে এখন আমের মুকুল। সারি সারি আম গাছে এখন সৌরভ ছড়াচ্ছে মুকুল। চাষিরাও পরিচর্যায় নেমেছেন বাগানে বাগানে। তীব্র শীত পেরিয়ে আম গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সঠিক সময়েই মুকুলের দেখা মিলেছে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন আম চাষিরা। তবে পরিচর্যা খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

রাজশাহীর আম বাগানগুলোর গাছে গাছে এরইমাঝে আসতে শুরু করেছে গুটি। এবার জেলার ৮৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, গাছে মুকুল কম আসলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এতেই বাম্পার উৎপাদন হবে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, এবার রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। এসব বাগান থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরে রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৫৭৮.৮ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছিলো।

এসব বাগন থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার ছয় মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। গত বছর আম থেকে আয় হয়েছিলো ১৫২৮ কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৭৭০ টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। এখন মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত মুকুল আসছে। এখন পর্যন্ত ৮৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে।

এদিকে, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও নগরীর বেশ কিছু এলাকার অগ্রিম জাতের আমের গাছে গুটি এসেছে। এসব গাছে গুটির যত্ন নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এখনও বেশিরভাগ বাগানে আমের গুটি ফুটেনি। ফলে মুকুলের পরিচর্চায় ব্যস্ত তারা।

বাঘা এলাকার আম চাি দের সাথে কথা বললে তারা জানান, কিছু গাছে গুটি এসেছে তবে সব গাছে মুকুল এবার সেভাবে আসেনি। তবে ছোট ছোট গাছে মুকুল এসেছে অনেক বেশি। প্রতি বছরের মতো এবারও যথা সময়ে আমের গুটি এসেছে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই সব গাছে গুটি আসবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ততরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, রাজশাহীতে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। বাকিগুলোতে পর্যায়ক্রমে আসবে। মুকুল কম হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একইসাথে যেসব গাছে গুটি এসছে সেগুলোকে একবার করে স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।

তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বেশকিছু গাছে একবার ভালো ফলন দিলেও পরেরবার আর ভালো ফলন হয় না। এবার গড়ে ৫৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। কিছু গাছে এখনও মুকুল আসবে। তবে সেটি খুব রেয়ার। যেসব গাছে গুটি দেখা দিয়েছে সেসব গাছে ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে। তবেই ক্ষতি কম হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS