ভিডিও

বগুড়ায় ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল অবৈধ গাড়ি পার্কিং, চরম জনভোগান্তি

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৪, ১০:৫৯ রাত
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৪, ১০:৫৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরে পথচারীদের ফুটপাত দিয়ে চলাচল করাই যেন দায় হয়ে পড়েছে। ফুটপাত ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একাংশ দখল করে পসরা সাজিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হকাররা। সেইসাথে সড়কের একাংশ দখল করে গাড়ি পাকিং করে রেখে যানজটের সৃষ্টি করা হচ্ছে।

প্রাইভেট কার,মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয় প্রায় সারাদিনই। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশের সামনেই সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। এতে যানজট আরও বেড়ে যায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যানজটে শহর স্থবির হয়ে পড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের সবচেয়ে করুণ অবস্থা কবি নজরূল ইসলাম সড়কে, থানা মোড়ে, ২ নম্বর রেল ঘুমটি,বড়গোলা, টিনপট্টি ও দত্তবাড়ী এলাকায়। সাতমাথায় সপ্তপর্দী মার্কেটের উত্তর পাশে এলজি শো-রুমের সামনে থেকে দত্তবাড়ী মোড় পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে ফুটপাত দখলে রেখেছে হকাররা। যে কারনে পথচারীরা ফুটপাত দিয়ে হাঁটতেই পারেননা।

সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একাংশও দখল করে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছে হকাররা। এ ছাড়া সড়কে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। রাস্তায় গাড়ি পাকিং করে অনেকে মার্কেটিং করতে যায়।

একইসাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করানো হয়। যে কারনে যানজট বেড়ে মানুষের চরম জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। কিন্তু পাকিং করা প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস সরাতে ট্রাফিক পুলিশকে তেমন তৎপর হতে দেখা না গেলেও মোটরসাইকেল আটক করে মামলা দেয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া মাঝে-মধ্যে পুলিশ ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করলেও কোন লাভ হয়না। পুলিশ চলে গেলেই আবারও পসরা সাজিয়ে পুরোদমে ব্যবসা শুরু করে হকাররা।

শুধু কবি নজরুল ইসলাম সড়কই নয়, ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখলের মাহোৎসব চলছে  শেরপুর, গোহাইল, রেল স্টেশন সড়কে, সার্কিট হাউজ, বাদুড়তলা, বড়গোলা, টিনপট্টি, দত্তবাড়ি, কালিতলা, দত্তবাড়ি থেকে নামাজগড় মুখি সড়ক, চাঁদনী বাজার, রাজাবাজার, ফতেহ আলী মোড়, স্টেশন সড়ক, গোহাইল সড়ক,  মেরিনা সড়ক, জলেশ্বরীতলা কালীবাড়ি ও ইয়াকুবিয়া মোড়, সেউজগাড়ী আমতলা ও কামারগাড়ী রেল ঘুমটি এলাকাতেও।

এ সব এলাকায় দু’পাশের সড়কের ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে রাখা হয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মে: শরাফত ইসলাম বলেন, পবিত্র রমজান মাসে শহরে মানুষের চাপ বেড়ে গেছে। সেইসাথে বেড়ে গেছে যানবাহনের চাপও।

তিনি বলেন, ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করার অভিযান চলমান রয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ পাকিং করা গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধেও  নিয়মিত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS