পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এক্স-রে) আব্দুর রাজ্জাক ডেপুটেশনে ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থাকায় এ হাসপাতালের নতুন এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছে না।
তার ডেপুটেশন বাতিল করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার পত্র দিলেও তা বাতিল করা হচ্ছে না। এতে প্রায় এক বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পরে থাকা নতুন এক্স-রে মেশিনটি একদিকে যেমন নষ্ট হতে বসেছে অন্যদিকে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। রোগীদের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
সম্প্রতি উপজেলা হাসপাতাল ব্যকস্থাপনা কমিটির সভায় বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঐ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বেতন ভাতা গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বন্ধ রেখেছেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রহমান সোহান জানান, এ হাসপাতালের ৫০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে মেশিন চালানো হচ্ছিল।
২০০৮ সালের ১১ জুলাই মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে। এক্স-রে মেশিন খারাপ থাকায় ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর এ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এক্স-রে) আব্দুর শুকুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়।
একই সাথে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এক্স-রে) আব্দুর রাজ্জাককে পীরগঞ্জ হাসপাতালে বদলি দিয়ে ডেপুটেশনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই কাজ করার আদেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক। তখন থেকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটেশনে কর্মরত আছেন আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে এক্স-রে মেশিন নষ্ট হওয়ার র্দীঘ ১৫ বছর পর গত বছরের ১৬ এপ্রিল পীরগঞ্জ হাসপাতালে একটি নতুন প্রটোকল এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করেন কর্তৃপক্ষ। মেশিনটি এক্স-রে কক্ষে সেট আপও করা হয়। কিন্তু এ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আব্দুর রাজ্জাক ডেপুটেশনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থাকায় এখানে এক্স-রে কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না।
আব্দুর রাজ্জাকের ডেপুটেশন বাতিল করে তাকে পীরগঞ্জে ফিরিয়ে দিতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার ডেপুটেশন বাতিল করা হচ্ছে না। চিঠি দেয়ার পরও ডেপুটেশন বাতিল না হওয়ায় রাজ্জাকের বেতন ভাতা গত ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে (এক্স-রে) নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি। প্রায় এক বছর হতে চলেছে, এক্স-রে মেশিনটি চালানো যাচ্ছে না। এতে মেশিনটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।