ভিডিও

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ বালু লুটের মহোৎসব 

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৪, ০৬:০৭ বিকাল
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৪, ০৬:০৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি:  দিনে সুনসান নিরবতা, রাত হলেই ড্রাম ট্রাকে করে বালু লুটের মহোৎসব চলছে। গভীর রাতে এভাবেই সরকারি বালু হরিলুট করছে একদল বালুদস্যু। তাও আবার নদীর ভেতর রাস্তা তৈরি করে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা-বাহাগিলী সন্ন্যাসীপাড়া সংলগ্ন নদী থেকে এভাবেই রাতে বালু লুটের মহোৎসবে মেতেছে একদল বালু দস্যু।

সরেজমিনে গত রোববার রাতে দূর থেকে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় আলোকিত এলাকাটি। যান্ত্রিক শব্দ হচ্ছে আর কিছু প্যান্ট পরিহিত ব্যক্তি চলাচল করছে। আর ভেকু বালু উত্তোলনে ব্যস্ত। প্রায় ৮টি ড্রাম্প ট্রাক বালু বহনের জন্য সারিবদ্ধ। দেখে মনে হবে কোন বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। আরও কাছে গিয়ে দেখা যায়- নদী এলাকায় একটি টিনের ঘর করা হয়েছে। সেখানে একজন খাতায় লিখছে কয়টি ড্রাম্প ট্রাক বালু নিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব। আর একটু দূরেই গেলে দেখা যায়- ভেকু দিয়ে ড্রাম্প ট্রাকে বালু তোলা হচ্ছে। বালু ভর্তি হলেই ড্রাম্প ট্রাকটি ছুটছে তার গন্তব্য এলাকায়। সেখানে আরও ৮টি ড্রাম্প ট্রাক বালু বহনে সারিবদ্ধ রয়েছে। এভাবেই গভীর রাতে সন্ন্যাসীপাড়া সংলগ্ন নদী থেকে বালু হরিলুটের মহোৎসব চলছে। 


অন্যদিকে নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে একটি রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে প্রতি রাতে ড্রাম্প ট্রাকে করে বালু দস্যুরা বালুগুলো বহন করছে। এসময় স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের ওই টিনের ঘরে গিয়ে পরিচয় দিলে বালু লুটের দায়িত্বে থাকা লোকটি অপর আরও দুইজন বালু কেনার একটি ট্রেজারি চালানের কপি দেখান। এসময় বালু উত্তোলনের কার্যাদেশ দেখতে চাইলে লোকটি বলেন- এ বালুগুলো একজন কিনেছে। তার কাছ থেকে আমি কিনেছি। ওই লোকটি আবার আরেকজনের কাছে এ বালুর লট কিনে নিয়েছেন। তাই কার্যাদেশটি আমি এখনও নেইনি।

পরক্ষণেই বলছে আমি ভুলবশতঃ কার্যাদেশের কপি বাসায় রেখে এসেছি। এরকম অসংলগ্ন আচারণে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি এ বালু এলকার কোন কার্যাদেশ দেয়া হয়নি। একটি চালান দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ বালু দস্যুরা জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে সরকারি বালু লুটের মহোৎসবে মেতেছে।

এসময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান- আমাদের চাষাবাদের জমি নষ্ট করছে ড্রাম্প ট্রাকগুলো। এছাড়া তারা আমাদের জমি থেকেও বালু উত্তোলন করছে। তারা বেশ প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা আমাদের চাষাবাদের জমিগুলো নিয়ে চিন্তিত। তারা গভীর রাতে এ বালুগুলো নিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজার সাথে কথা হলে তিনি জানান- চাঁদখানা-বাহাগিলী সন্ন্যাসীপাড়া সংলগ্ন বালু স্তুপ নিয়ে ১৬ নং লটটির কোন কার্যাদেশ দেয়া হয়নি। ওই এলাকা থেকে গভীর রাতে বালু লুটের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। আমি ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানিয়েছি। এছাড়া আমি থানায় বিষয়টি অবহিত করেছি। থানাও এরকম অভিযোগ পেয়েছে যে রাতে কিছু অসাধু লোকজন ড্রাম্প ট্রাকে করে বালু লুট করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


   

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS