ভিডিও

রমেক হাসপাতালের কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স ৩ বছর গ্যারেজবন্দি

সেবা পাচ্ছে না দরিদ্র জনগোষ্ঠী

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৫:১৭ বিকাল
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৫:১৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : নীতিমালা না হওয়ায় এবং লোকবলের (চিকিৎসক) অভাবে গত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্যারেজবন্দি হয়ে পড়ে আছে নতুন কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সটি। ফলে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের আইসিইউ সার্পোট সংবলিত অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাচ্ছে না এ অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ।

তবে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল রাখতে মাঝে মাঝে ইঞ্জিন চালু করাসহ স্থানীয়ভাবে চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রমেক হাসপাতাল সূত্র মতে, নতুন ও পুরাতন কার্ডিয়াক (সিসিইউ) ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা আছে প্রায় ৪৮টি। সেখানে রোগী ভর্তি থাকে দ্বিগুনের মতো। আবার খুব গরম এবং শীতে হার্টের রোগী অনেক ভর্তি হয়। আকস্মিকভাবে হার্টের সমস্যায় কারও অবস্থা গুরুতর হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়।

এছাড়া আইসিইউতে মাত্র বেড আছে ১০টি। যদি রংপুর ও এর আশেপাশে কোন মুমূর্ষ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয় তাহলে বর্তমানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হচ্ছে একমাত্র ভরসা। তবে আইসিইউ সুবিধা সংবলিত কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স হচ্ছে কম খরচে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের বিকল্প ব্যবস্থা। এটি চালু হলে সেবার মান বাড়বে বলে মনে করেন সেবাগ্রহীতারা।

রমেক হাসপাতালের প্রশাসনিক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোভিড চলাকালীন গুরুতর রোগীদের নির্বিঘ্নে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ অন্যত্র পরিবহনের সুবির্ধাতে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে কোটি টাকার অধিক মূল্যের ইতালির তৈরি ১টি আইসিইউ বেডের সকল সুবিধা সংবলিত অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক এ্যাম্বুলেন্সটি রমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা হয়।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে উন্নত প্রযুক্তির পালস অক্সিমিটার, ইসিজি মেশিন, সিরিঞ্জ পাম্প, ভ্যান্টিলেটর মেশিন, সাকার মেশিন, মনিটর, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আছে। তাই চালক ছাড়াও এটি পরিচালনার জন্য ১ জন করে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স এবং ওয়ার্ড বয় থাকতে হবে। শুধুমাত্র লোকবলের অভাব এবং নীতিমালা তৈরি না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটির সেবা পাচ্ছে না রংপুর বিভাগের মানুষেরা।

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, লোকবল এবং নীতিমালা না থাকায় কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। নীতিমালা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবগত করা হয়েছে।

পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সটি টেবিল অফ অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (টি/ওএন্ডই) তালিকাভুক্ত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS