ভিডিও

প্রাচীরে স্কুলের রাস্তা বন্ধ, মই বা বোরো ক্ষেতের আইলে চলাচল করে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৭:১৮ বিকাল
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৭:১৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রাচীর দিয়ে বিদ্যালয়টিকে অবরুদ্ধ করায় স্কুলের পেছন দিয়ে মই বা বোরোধানের ক্ষেতের সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।  খোলা মাঠে খেলাধূলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার নারাপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার মান ধরে রেখেছে। প্রায় ৭ বার যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে বিদ্যালয়টি এখন কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে স্থানান্তরিত হয়ে কয়েকবছর আগে বিদ্যালয়টিতে একটি বহুতল ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে।

এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা কর্ণিবাড়ী দ্বিমূখি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মাঠ দিয়ে যাতায়াত করতো। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই স্থানে হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা মাদ্রাসার বিশালাকার মাঠের এক কোণায়  খেলাধূলা করতো। কিন্তু গত কয়েকমাস আগে এ বিদ্যালয়ের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।

এ প্রাচীরের  ছোট কোন গেইটও তারা রাখেননি। এর ফলে বিদ্যালয়টি অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা প্রাচীরের উপরে মই দিয়ে অথবা প্রাচীর টপকে স্কুলে যাতায়াত করছে। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর স্কুলের পেছনের বোরোধানের সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে পা পিছলে কাপড় নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুনতে হচ্ছে জমির মালিকের ভৎর্সনা।

বেশি বৃষ্টি ও বর্ষা মৌসুমে  বোরোধানের জমিটি বেশ কয়েকমাস পানিতে নিমজ্জিত থাকে। তখন এক কোমর পানি ভেঙে এ স্কুলে যাতায়াত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। এদিকে প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার পর স্কুলের শিক্ষার্থীরা  মাঠে খেলাধূলাও করতে পারছে না।

প্রতিষ্ঠানের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, ‘আগে আমরা মাদ্রাসার মাঠ দিয়েই চলাচল করতাম। প্রাচীর দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার পর  থেকেই আমরা মই বা ধান ক্ষেতের সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করছি। সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করার সময় আমি একদিন ধানক্ষেতের কাদার মধ্যে পরে গেছিলাম। তাছাড়া খেলার মাঠ বন্ধ হওয়ায় আমরা খেলাধুলাও করতে পারছি না।’

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, নিষেধ করা সত্ত্বেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীরটি নির্মাণ করায় স্কুলটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। মাদ্রাসার  কোথাও  কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। কিন্তু আমার স্কুলের সামনেই কেন প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছে তা আমার  বোধগম্য না।

কর্নিবাড়ী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আজাহার আলী বলেন, মাদ্রাসার মাঠ দিয়ে শিক্ষার্থীরা চলাচল করে না। বিষয়টি নিয়ে এমপি সাহেব বসতে  চেয়েছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে। এটা খুবই একটি অমানবিক বিষয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কিছুতেই কথা শুনছেন না। সামনের সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে আমি বিষয়টি তুলে ধরব।

এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। সরেজমিন তদন্ত করে ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS