ভিডিও

চব্বিশ বছর পর আক্কেলপুরের ঢাবি ছাত্র রহিম হত্যার রায় সাতজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

জয়পুরহাট কোর্ট রিপোর্টার : জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যার চব্বিশ বছর পর রায় হয়েছে। আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনা ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম দুই জন আসামী উপস্থিত ও পাঁচ জনের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের ছেলে আ: গফুর ওরফে গফুর (উপস্থিত), মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ (উপস্থিত), বাকী পলতাকরা হলো জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম ওরফে তৌফিক,  মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য ডুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বিজিবি সদস্য হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল।

এদের মধ্যে ডুয়েল ওরফে বখতিয়ার ২২ ব্যাটালিয়ন ঢাকা সেনানিবাসের নায়েব সুবেদার। আর হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল ১৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সিপাহি পদে কর্মরত। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম  ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপনে বিকাল ৫টায় ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন।

১১ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে বাড়ি বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি আর ফিরেন নাই। পরদিন ১২ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড়ে তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা । খবর পেয়ে আব্দুর রহিমের মরদেহ সনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনায়  নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে ২০০০ সালের ১২ জানুয়ারী বেগুনবাড়ি গ্রামের ঝন্টু, তৌফিকুল ইসলাম ও জুয়েলের নাম উল্লেখ  করে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ২২ অক্টোবর  তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহাবুব উল আলম আসামীদের স্বীকারোক্তিতে তদন্তে ৭জনের নামে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।

দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ দুই জন আসামীর উপস্থিতিতে ও পাঁচজনের অনুপস্থিতিতে আদালতের বিচারক এ রায় দেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS