ভিডিও

উল্লাপাড়ায় স্কুলের সামনে হাট বিঘ্নিত শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৭:৩৭ বিকাল
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৭:৩৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের পঞ্চক্রোশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হাট বসায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত ও লেখাপড়া মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে পঞ্চক্রোশী হাট চত্ত্বরে স্কুলের নিজস্ব কোনো জায়গা না থাকায় বৈধভাবেই স্কুলের সামনে বসাচ্ছেন হাট।

সপ্তাহে দু’দিন বসে এ হাট। সমস্যা এক দিনের। তবে পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, তার বিকল্প ভাবনার কথা। জানা যায়, ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের পাশে সলপ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩শ’ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। স্কুল সংলগ্ন হাটে সবজির দোকানের অংশ সবচেয়ে বড়। আর এই অংশটি রয়েছে স্কুল গেটের সামনে। সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবার এখানে হাট বসে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সমস্যা হয়না। তবে প্রতি সোমবার পোহাতে হয় বিড়ম্বনা। সকাল থেকে স্কুলের সামনে বসে দোকান। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ঠেলে স্কুলে প্রবেশ এবং ছুটির পর বের হতে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। ধুলোবালি ও লোকজনের হট্টগোলে শ্রেনিতে পড়ালেখা বিঘ্নিত হয়। অবিলম্বে স্কুলের সামনে হাট বসানো বন্ধের দাবি জানায় তারা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলি খাতুন জানান, স্কুলে প্রতি সোমবারের এই সমস্যাটা চলে আসছে বহুদিন ধরে। তিনি ব্যবস্থাপনা কমিটি, স্থানীয় সুধীজন, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষা বিভাগের কাছে সমস্যার কথা বহুবার জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না। হাটের দিনগুলোতে ছুটির পর হাটের ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাইরে বের করতে সকল শিক্ষক কর্মচারীকে আধা ঘন্টা ধরে কাজ করতে হয়।

পঞ্চক্রোশী হাটের ইজারাদার আব্দুল মান্নান শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, অনেক টাকা দিয়ে তিনি হাট ডাকেন। সবজির হাট থেকেই তার আয় বেশি। হাটের জায়গা কম হওয়ায় সবজির হাট সরানোও সম্ভব হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতির বিষয়টি মাথায় নিয়ে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা ভেবে দেখবেন তিনি।

এব্যপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান ফিরোজ জানান, এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাটের দিনের সমস্যা বহু বছরের। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে তিনি বিকল্প চিন্তা করেছেন। এখন সপ্তাহে দুদিন স্কুল ছুটি। ফলে সোমবারের ক্লাসগুলো যদি শনিবারে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কোনো পক্ষেরই সমস্যা থাকবে না।

সেক্ষেত্রে শনিবারের পরিবর্তে বিদ্যালয়ে সোমবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। তিনি উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের কাছে দ্রুত এই প্রস্তাব দেবেন বলে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মো. ছানোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি পঞ্চক্রোশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা অবহিত বলে জানান।

এই সমস্যার সমাধানে অনেকবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এর সমাধানে যেকোনো প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে পারেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS