ভিডিও

ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখার দিন শেষ এখন শুধুই কেনাকাটার পালা

তরুণীদের পছন্দের তালিকায় ‘পদ্মজা’

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৭:৫৩ বিকাল
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৪, ১২:৪২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। হাতে খুব বেশি সময়ও নেই। ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখার দিনও শেষ। এখন শুধুই কেনাকাটার পালা। ক্রেতারা বলছেন, যারা ঈদে গ্রামে যাবেন, এবং যারা আগেভাগে পরিবার পাঠিয়ে দিবেন তারা এখনই কেনাকাটা শেষ করতে চায়।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, অনেক বেসরকারি চাকরিজীবীর বেতন হয়নি। আগামী সপ্তাহে বিক্রির ধুম পড়বে। এবারে তরুনীদের পছন্দের তালিকায় আছে পদ্মজা নামের ড্রেসটি। আরও আছে সেই পুরনো আমলের বেলবটম প্য়াজামা। এদিকে প্রতি বছরের মত বিভিন্ন আউটলেটে নানা রকম ছাড় দিয়েছে। তবে কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের মানে গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়াও প্রায় প্রতিটি বিকাশ, নগদ ও শিওর এর ক্যাশব্যাক অফার দেওয়া হচ্ছে। শহরের বিপনীবিতানগুলোও ঈদ উৎসবের জন্য সাজতে শুরু করেছে আলোর রশনাইয়ে।

বছরে এই ঈদ একবারেই আসে। আর তাই ঈদ উৎসবকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। থাকে ঘরে ফিরে প্রিয়জনের সঙ্গে উদযাপনের চেষ্টা। এবার ঈদের ছুটির সাথে বাংলা বর্ষবরণ থাকায় উৎসবে পেয়েছে নতুন মাত্রা। গ্রীষ্মের ঈদ হওয়ায় এবার পোশাকেও লেগেছে গরমের ছোঁয়া। নারী-পুরুষের বেশির ভাগের পোশাক কিনছেন হালাকা রঙের। সপ্তাহের প্রতিটি দিন এখন মার্কেট খোলা।

রোজার দিনে খাওয়া-দাওয়ার ঝামেলা থাকে না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই ছুটেছে শপিংমল, মার্কেট ও বিপণিবিতানে। যেকারণে সকাল থেকেই মার্কেটগুলোতেও ক্রেতাদের চাপ প্রচন্ড। রোদ ও গরম উপেক্ষা করে যারা দিনে বের হচ্ছেন না তারা সন্ধ্যার পর মার্কেটে যাচ্ছেন  স্বপরিবারে।

বগুড়ার নিউ মার্কেট, নবাববাড়ি মার্কট, রানার প্লাজা, হকার্স মার্কেট,  জামিল শপিং কমপ্লেক্সসহ অভিজাত এলাকাখ্যাত জলেশ্বরীতলা এলাকার বিপনীবিতানগুলো ঘুরে দেখা যায়, রেডিমেট পোশাকের মধ্যে কিশোরী থেকে তরুনীদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় পদ্মজা, নায়রা, সারারা ও অরগাঞ্জা শীর্ষে।

পদ্মজা ড্রেসটি মূলত একটি উপন্যাসের নামানুসারে হলেও নায়রার আবিস্কারক পাকিস্তান। কিন্তু বানাচ্ছেন  বাংলাদেশ ও ভারত। প্রতি পিস পদ্ম্জার দাম ৫ থেকে ১৭ হাজার, নায়রা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নায়রার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বেশি ঘের দেয়া শারারা ড্রেসটিও। আরও আছে অরগাঞ্জা, শিপন, জর্জেট, পাকিস্তানি কুর্তি, লেহেঙ্গা, ক্রপটপ গাউন, বার্বি গাউন ও ভারত থেকে আমদানি করা  কটন, আদ্দি, পিয়রের ওপরে কাজ করা বাহারি সব পোশাক। 

শহরের রানা প্লাজা, পুলিশ প্লাজা ও জলেশ^রীতলার বিপনীবিতান ঘুরেও মেয়ের পছন্দের ড্রেস কিনতে পারেননি হাসনা বেগম। মেয়ে পছন্দ করে যে জামা তা তাকে কিনে দেয়ার ক্ষমতা নেই।  বাজেট সাড়ে ৪ হাজার টাকা। দাম হাকাচ্ছেন  ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা।

মেয়ের মন খারাপ।  বললেন শুধু ড্রেস নয় সাথে সেন্ডেল কিনতে হবে। গত বছরের চেয়ে প্রতিটি কাপড়ের দাম এবার আরও বেশি। আগামীকাল আবারও আসবেন  বলে বাড়ি পিরে গেলেন। এদিকে দামের ব্যাপারে  ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে । তারই প্রভাব পড়েছে ঈদ মার্কেটে।

আরেক ক্রেতা সিহাব হোসেন বলেন,  সব পণ্যই আগের মতই আছে শুধু  দামের হিসেব বদলে গেছে। পরিবারের সবার জন্য যেখানে হাজার বিশেক টাকা হলে পাড়ি দেয়া যেত সেখানে ৪০ হাজারেও হচ্ছে না। বাজার খরচ, উৎসব আমেজে প্রতিটি পণ্যের সাথে সমন্বয় করতে হিমসীম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত্বদের।

সব ছাপিয়ে নিউমার্কেটে ক্রেতাদের চাপ ছিল সর্বোচ্চ। কাপড়ের তুলনামূলক মান ও সহনীয় দামের কারণে মধ্যবিত্তের কাছে নিউমার্কেটের চাহিদা বেশি। এই মার্কেটে সব ধরণের ও সব বয়সীর কাপড় পাওয়া যায়। একারণে রমজানের প্রায় শুরু থেকেই বেচাকেনা জমে উঠেছে। মার্কেটের অধিক পরিচিত দোকান রণি ক্লথ স্টোর এর স্বত্তাধিকারী কাঁলাচাদ জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শুরু থেকেই ক্রেতার উপস্থিতি ভাল।

বেচাকেনাও ভাল। আবহাওযা ভাল থাকায় রমজানের শুরু থেকেই মানুষজন অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এখানে কেনাকাটা করতে পারছেন। শেষ সপ্তাহে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে জানান এই ব্যবসায়ী। এ বছর ঈদের সাথে যোগ হয়েছে বাংলা নববর্ষ। সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীরা পেয়েছেন ঈদের বোনাস ও বৈশাখী ভাতা।

যে কারণে বাজারে বিক্রিবাট্টাও বেড়েছে। তবে মাসের শুরুতে বেসরকারি কর্মজীবীরা বেতন পাবেন। তাই ঈদের শেষ সপ্তাহেও জমজমাট থাকবে কেনাবেচা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS