ভিডিও

জয়পুরহাটে সরকারি ২৫টি গাছ কাটলেন ইউপি চেয়ারম্যান

সড়ক পাকাকরণ অজুহাত

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৯:২৩ রাত
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৯:২৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : সড়ক পাকাকরণ কাজের অজুহাতে টেন্ডার ছাড়াই ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জয়পুরহাটের দোগাছী ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ সড়কের সরকারি প্রায় ২৫টি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোগাছী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন গাছগুলো ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের রাঘবপুর বাগুয়ান এলাকায় ৩৫০ মিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

‘বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় সড়কটিতে পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সড়কটির উভয়পাশে ঔষধি অর্জুন ও জামসহ অন্যান্য জাতের গাছও লাগানো আছে। পাকাকরণের ওই অংশে ২০-২৫টি গাছ ছিল। সড়ক পাকাকরণ কাজের প্রতিবন্ধকতা হবে এমন অজুহাতে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন শ্রমিক লাগিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে তা বিক্রি করেন।

স্থানীয়রা জানান, শ্রমিকেরা গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। কাটার পরপরই তারা সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলেন। ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমনের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়।

দোগাছী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে সড়ক নির্মাণের কাজ নিয়ে এসেছি। বেশিরভাগ সড়কে গাছ সাধারণত বন বিভাগ রোপণ করে। কিন্তু সড়কটি তাদের নয়, এটি পরিষদের সড়ক।

সড়কটি প্রশস্তকরণে ১৭টি গাছ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় সেগুলো কেটে ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যার মধ্যে ঔষধি অর্জুন গাছ বেশি ছিল। বিক্রি করা টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা পরিষদের ফান্ডে জমা আছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন যদি সরকারি প্রসেসে যাই তাহলে ৬-৭ মাস সময় লাগবে।

এই সময়ের জন্য কী সড়কের কাজ বসে রাখা সম্ভব? তাছাড়া সড়কের গাছ কাটার ক্ষমতা আমার আছে’।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী সামিন শারার ফুয়াদ বলেন, ‘কাজ করার সময় সড়কের মধ্যে যদি দু-একটি গাছ পড়ে সেগুলো কাটা হয়। কিন্তু অনুমতি ছাড়া এভাবে গাছ কাটা আইনসম্মত নয়’।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘সড়কের গাছ কেটে সরিয়ে ফেলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে’।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS