ভিডিও

বদলগাছীতে

মৃত্যুর ৬ বছর পর মাদরাসা সুপার হলেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য

বিল আবেদন আটকে দিল শিক্ষা অফিস

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছীতে মৃত্যুর ৬ বছর পর এক মাদরাসা সুপারকে সদস্য করে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই বোর্ডে একজন নিরাপত্তা কর্মী ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম-ক্যাটালগার নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

নিয়োগ বোর্ডের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল পত্রে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও একজন শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া সকল সদস্যের জাল স্বাক্ষরে নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাউদপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায়।

আয়া পদে নিয়োগ প্রাপ্ত মোছা: শারমিন সুলতানা সেতুর বেতন ভাতার আবেদন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মাদরাসার অনলাইন কোর্ডে শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করলে ভূয়া নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। ওই মাদরাসা সুপার বলছে নিয়োগ সম্পর্কে তার কিছু জানা যায়। নিয়োগ পত্রের স্বাক্ষর আর আমার স্বাক্ষরের কোন মিল নেই।

মাদরাসার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান মন্ডল ভূয়া নিয়োগের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক করতোয়াসহ আরও একটি পত্রিকায় নিয়াগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দেখানো হয়। কিন্তু ওই তারিখের দৈনিক করতোয়ায় দাউদপুর মাদরাসার কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।

ভূয়া বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে ঐ মাদরাসার সভাপতি শহিদুল ইসলামের মেয়ে শারমিন সুলতানা সেতুকে আয়া পদে নিয়োগ পত্রে সুপারের নামে স্বাক্ষর করেছে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ। একই তারিখে সুপারের স্বাক্ষর রয়েছে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম-ক্যাটালগার পদে মাধব পাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু মুস্তাকীম এর নিয়োগ পত্রে এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে দাউদপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ইছাহাক আলীর নিয়োগ পত্রে। তৎকালীন সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান. ২০২০ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত তিনি সভাপতি ছিলেন।

তার মেয়াদ শেষের ১০/১২ দিন আগে সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার তাকে তার বাসায় ডেকে নেন। এমপি শিক্ষক শরিফুর ইসলামের ভাতিজাকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলেন। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভূয়া নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়েছে ২০ সালের ১৮ মার্চ। নিয়োগ বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে গয়ড়া তেঁতুলিয়া মাদরাসা সুপার আবদুর রশিদকে যিনি ৬ বছর আগে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসা সুপার সেকেন্দার আলী জানান মাদরাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। মাদরাসায় চাকুরী দেওয়া নামে আয়া পদে শারমিন সুলতানা সেতুকে ভূয়া নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। আমার স্বাক্ষরের সাথে ঐ স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আয়া পদে বেতন ভাতার আবেদন করেছে এবং আরও দু‘টি নিয়োগ পত্র অফিসে জমা দিয়েছে।

এ সব কাজে জড়িত থাকায় অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজাজামান মন্ডলের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জানতে চাইলে অফিস সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, সুপারকে অভিযুক্ত করে ভূয়া নিয়োগের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি এবং সুপার অফিসে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম জানা, তিনি বিল আবেদন আটকে দিয়েছেন। সন্দেহ হয়েছিল এটা ভূয়া নিয়োগ। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS