ভিডিও

‘ভালো কাজ’ দেওয়ার প্রলোভনে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৪, ০৭:৩৮ বিকাল
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৪, ১১:২৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সিলেট  প্রতিনিধি: সিলেটে ‘ভালো কাজ’ দেওয়ার প্রলোভনে তরুণীকে টানা ২২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা।

মামলায় আসামিরা হলেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালাম (৪০), তার সহযোগী নগরীর লালাদিঘির পার এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলা মতিন মিয়ার কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম (৩০)। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার তরুণী নগরীর শেখঘাটের একটি বোতল কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা তাকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম লালদিঘির পাড়ের আব্দুস সালামের সঙ্গে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেন। আবদুস সালাম ‘ভালো কাজ’ দেওয়ার প্রলোভন দেখান তরুণীকে। গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগম ভালো কাজের কথা বলে তরুণীকে আব্দুস সালামের লালদিঘির পাড়ে বাসায় নিয়ে যান। পরে বাসার একটি রুমে ২২ দিন আটকে রেখে আব্দুস সালাম তাকে ধর্ষণ করেন।

পরিবারের সদস্যরা সিলেট নগরীর বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলে রেখা বেগম বাধা দিয়ে তাদের আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যান। আব্দুস সালাম তরুণীকে উদ্ধারের বিষয়ে আশ্বাস দেন। এর কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও আব্দুস সালামের কাছে গেলে তিনি জানান, লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওইসময় লন্ডন প্রবাসী পরিবারের পরিচয় জানতে চাইলে আব্দুস সালাম ক্ষেপে যান। এসময় নির্যাতনের শিকার তরুণী ঘটনা খুলে বললে তাকে প্রাণনাশের হুমকি ও বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন সালাম।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনার তিনদিন পর আব্দুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যান। পরে তার সহযোগী আব্দুল মনাফের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাকে আব্দুস সালাম ও আব্দুল মনাফসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সেখান থেকে ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে তরুণীকে উদ্ধার করে আনা হয়।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS