ভিডিও

অনলাইনেও চলে কেনা-বেচা

ঈদের আগে বগুড়ায় বেপরোয়া মাদক কারবারিরা

প্রকাশিত: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ১১:০৭ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ১১:০৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় পুলিশের অভিযানেও থামছে না মাদকের কারবার। পুলিশ মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করছে,জেলে দিচ্ছে কিন্তু তারপরও মাদক পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে না। বগুড়া শহর ও শহরতলিতে মাদকের কারবার চলছে আগের মতই। আইনের ফাঁক-ফোকর গলিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসে ফের পুরোদমে পুরানো পেশায় ফিরে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

ঈদকে সামনে রেখে মাদক কারবারিরা ফেনসিডিল, ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, গাঁজা ও হেরোইনের মজুদ বাড়াচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের আগের দিন চাঁদরাত থেকে শুরু করে ঈদের পরের ১৫ দিন পর্যন্ত থাকে মাদকের ব্যাপক চাহিদা। সেবনকারিরা বিভিন্ন স্পটে হন্যে হয়ে খোঁজে মাদক। এ জন্য ঈদকে সামনে রেখে শীর্ষ মাদক কারবারিরা মাদকের মজুদ গড়ে তুলছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বগুড়া শহরের অন্যতম বড় মাদক স্পট হলো শহরের স্টেশন রোডে সুইপারপট্টি যাওয়ার অলিগলি। পুলিশের অভিযান সত্বেও সেখানে দিব্বি মাদকের কারবার চলে।

সেখানে পুলিশ অভিযান চালালে মাদক কেনা বেচা বন্ধ থাকে, আবার পুলিশ চলে গেলে সেখানে ফের মাদক কারবার শুরু হয়। এক রকম পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলার মধ্য দিয়েই মাদকের কারবার করে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ইয়াবা, গাঁজা, চোলাই মদসহ সব ধরণের মাদক বিক্রি হয় এই মাদক স্পটে।

এ দিকে শহরের আরেকটি বড় মাদক স্পট হলো শহরের চকসুত্রাপুরের হাড্ডিপট্টি। আন্ত:জেলা উপজেলা বাস টার্মিনাল ঘেষে থাকা হাড্ডিপট্টি এলাকা হলো মাদক কারবারিদের সদর দপ্তর বলা হয়ে থাকে। সেখান থেকে গোটা শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট। সেইসাথে গাঁজা,ফেনসিডিল ও হেরোইনও কেনা বেচাতো চলেই।

সেখানে টাকার বিনিময়ে কিশোর, যুবা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট। সেইসাথে নানা বয়সীরাও মাদক কিনছে। হাড্ডিপট্টিতে অন্তত: ১০ জন তিনভাগে বিভক্ত হয়ে সেখানে মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক কারবারিদের দাপটে শান্তিপ্রিয় মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, শহরের সেউজগাড়ী, পুরান বগুড়া মধ্যপাড়ায়, মালগ্রাম, চকসুত্রাপুর কসাইপাড়া, নামাপাড়া, চাপড়পাড়া,সওদাগড়পাড়া, নামাজগড়,জহুরুলনগর ব্যাংকপাড়া, সুলতানগঞ্জপাড়া ঈদগাহ লেন, ঘোনপাড়া, উত্তর চেলোপাড়ার সান্দারপট্টি,রেললাইন বস্তি,বাদুড়তলা, উপ-শহর, বৃন্দাবনপাড়া, ফুলবাড়ি মধ্যপাড়া, কলোনী, নাটাইপাড়াসহ বিভিন্নস্থানে মাদকের রমরমা বানিজ্য চলছে।

এ সব স্পটে প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজা  হেরোইন ও ফেনসিডিলের কারবার চললেও শীর্ষ মাদক কারবারিরা ধরা পড়েনা। মাদকের ডিলাররা ভারতীয় সীমান্ত থেকে বাহকের মাধ্যমে ইয়াবা,ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইন সংগ্রহ করে এনে শহরের বিভিন্ন স্পটে খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকে। এরপর খুচরা মাদক কারবারিরা তা মাদক সেবনকারবারি কাছে বিক্রি করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্পট কেন্দ্রিক মাদকের কারবারের পাশাপাশি অনলাইনেও মাদক কেনা-বেচা চলছে। অনলাইনে অর্ডার করলে মূহুর্তেই ক্রেতার দোড়গোঁড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল,গাঁজা ও মদসহ সব ধরণের মাদক।

সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, রিক্সা ও মোটর সাইকেলে চেপে ভ্রাম্যমাণভাবেও মাদক সরবরাহ করা হচ্ছে। রয়েছে হোম ডেলিভারিও। প্রয়োজনে মাদক কারবারিরা তাদের ‘ভিআইপি’ খোরদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয় ইয়াবা, গাঁজা ও অন্যান্য মাদক।

এ ব্যাপারে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরাফত ইসলাম বলেন, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিদিনই বগুড়ার বিভিন্ন মাদক স্পটে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে মাদক কারবারিদের, উদ্ধার হচ্ছে মাদকদ্রব্য। তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS