ভিডিও

সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হচ্ছে

প্রকাশিত: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ১১:০৯ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ১১:০৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দির বিভিন্ন চরাঞ্চলে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ফলে মানুষের জীবনমানও উন্নত হয়েছে। সাবমেরিন ক্যাবল এবং জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ থেকে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। উপজেলার চরাঞ্চলের বেশ কিছু রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন।

বগুড়া সারিয়াকান্দির ১২ টি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌরসভার মধ্যে ৪ টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ নদীগর্ভে। এছাড়া ৫ টি ইউনিয়নের আংশিক যমুনা নদীগর্ভে। তাই এ উপজেলার বিশাল আয়তনের জনগোষ্ঠী চরবাসী। যমুনাচরের এসব বাসিন্দা বহুকাল আগে থেকেই পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু কয়েকবছরে এসব চরাঞ্চলের মানুষদের জীবনমানে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

ফলে পরিবর্তন হতে শুরু করেছে তাদের জীবনমান। উপজেলার এসব পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে ২০২০ সালে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি চরে এবং ২০২১ সালে সদর ইউনিয়ন ও কাজলা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি চরে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়েছে। এছাড়া জামালপুর জেলা থেকেও এসব চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়েছে।

ফলে একসময়ের অন্ধকার জনপদ হিসেবে খ্যাত চরাঞ্চলের মানুষরা এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। বিদ্যুৎ চালিত মোটর ব্যবহার করা এখন কৃষকরা ধূধূ বালুচরে পানিসেচের মাধ্যমে নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করছেন। বিদ্যুৎ সুবিধা চালুর পর থেকে এসব চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখন পড়াশোনাতেও এগিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী এবং বোহাইল ইউনিয়নের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশে পড়াশোনা করছে। উপজেলার মানিকদাইড় চরের মানিকদাইড় বাজারের প্রধান সড়কটির ড্রেনকাম সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া মানিকদাইড় বাজার থেকে কাজলা ইউনিয়নের কটাপুর বাজার, আনন্দ বাজার, স্বাধীন বাজার, শাহজালাল বাজার হয়ে জামথল খেয়াঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার লম্বা কার্পেটিং এবং আর সিসি ঢালাই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের নান্দিনার চরে ৪ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। এছাড়া এ চরের আরও ৪ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

বোহাইল ইউনিয়নের আব্দুর মান্নান বাজারের ১ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। এ ইউনিয়নের শংকরপুর চরের দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া এ ইউনিয়নের শংকরপুর চরের  ৫০০ মিটার সড়কের পাকাকরণ কাজের প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির জানিয়েছেন, চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন রয়েছে। একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবনে ছাত্র ছাত্রীরা শহরের পরিবেশে পড়াশোনা করছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলের অবহেলিত পিছিয়ে পরা মানুষদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যমুনার বিভিন্ন চরাঞ্চলে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের আশ্রয়ন প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে পাকা বাড়িতে চরাঞ্চলের মানুষরা বসবাস করছেন।

বগুড়া-১ সারিয়াকান্দি সোনাতলা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া দেশের চরাঞ্চলেও লেগেছে। এখন চরবাসীও শহরের সুবিধা পাচ্ছেন। চরাঞ্চলের মানুষদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং বেশ কিছু প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। তাই চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS