ভিডিও

দুপচাঁচিয়ায় বিদ্যুতের লোডশেডিং রোজাদারদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ০২, ২০২৪, ০৫:৫৮ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ০২, ২০২৪, ০৫:৫৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পবিত্র রমজান মাসে ব্যাপকহারে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। সময়-অসময়ে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজিতে রোজাদারদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাদের বেচাকেনায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (নেসকো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রের অধীনে প্রায় ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহর চাহিদা রয়েছে।

এই কেন্দ্র থেকে তিনটি হিমাগার, দু’টি বিস্কুট কারখানা, দু’টি পেপার মিল, একটি টাইলস মিল, ৯টি অটোরাইস মিল, একটি ময়দার মিল, প্রায় সাড়ে ৬শ’ রাইস মিল, ৩৭৯ শ্যালো মেশিন ও ডিপ টিউবয়েল এবং প্রায় ৩২ হাজার বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার লোডশেডিং ব্যাপকহারে বেড়েছে।

প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আধা ঘণ্টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। বিদ্যুতের এই ঘনঘন লোডশেডিংয়ে পড়ে রমজানের রোজাদারদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে মাগরিবের ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে রোজাদারদের দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যায়।

এদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগের শিকার বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ঊষা ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী শিল্পপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ বসাক মন্টু জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কারখানার উৎপাদন অর্ধেক নেমে গেছে। বিভিন্ন মোকামে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা থাকলেও তা সরবরাহ করতে পারছেন না।

জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ এর ঘন-ঘন লোডশেডিং এর ফলে মেশিন পুড়ে যাচ্ছে। কৃষক সাজ্জাত হোসেন, ফেরদৌস বিশ্বাসসহ অনেকেই জানান, ভরা এই ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে পানি দিতে না পারায় ফলন কমে যাওয়ার আশংকা বাড়ছে।

এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) উপজেলা বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগ (নেসকো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোছাদ্দেক কবির জানান, তাদের কারিগরি কোন ত্রুটি নেই। তবে জাতীয় গ্রিডের সমস্যার কারণে লোডশেডিং চলছে।

ঢাকা ক্যাটা অপারেশন ও বগুড়া থেকে এই লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ২২ মেগাওয়াটের বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ১৫ মেগাওয়াট। সময় ভেদে ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। এতেই লোডশেডিং হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই বলেও তিনি জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS