ভিডিও

খরার শুরুতেই বিদ্যুতের লোডশেডিং, বগুড়ায় মিলছে চাহিদার ৬৫ শতাংশ

রোজাদারসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: এপ্রিল ০২, ২০২৪, ০৭:৩৩ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ০২, ২০২৪, ০৭:৪৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়াসহ এই অঞ্চলে এক দিকে তীব্র দাবদাহ, অন্যদিকে বিদ্যুতের যাওয়া আসায় সাধারণ মানুষের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। খরা মৌসুমের শুরুতেই বিদ্যুতের এমন আসা যাওয়ার খেলায় অতিষ্ট বগুড়াবাসী। গত তিনদিন হলো বগুড়ার বিভিন্নস্থানে দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করায় বিষিয়ে উঠেছে জনজীবন।

কোন কোন এলাকায় ইফতারের আগে, আবার কোন কোন এলাকায় তারাবির নামাজ শুরু হতেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গড়ে প্রতি এলাকায় দিনে কম পক্ষে দুই বার দুই ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

বগুড়ায় প্রতিদিন গড়ে ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই চাহিদা পূরণ হচ্ছেনা। উৎপাদনে ঘাটতির কারণে সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। নেসকো, বগুড়ার একটি সূত্র জানিয়েছে, বগুড়ার চারটি ডিভিশনের জন্য ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট। ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ সরবরাহ কম পাওয়ার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। কবে নাগাদ স্বাভাবিক সরবরাহ হতে পারে এর জবাবও দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।

বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকায় বেলা ১১টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টা ছিলো এই লোডশেডিং। সুত্রাপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ সামছুল আলম জানান, দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে সূর্যের তাপের তীব্রতা বাড়তে থাকে এ সময় শিশু এবং বয়স্ক মানুষেরা বাড়িতে অবস্থান করে।

বিদ্যুৎ না থাকলে বাড়িতেও থাকা যায়না। ফলে পবিত্র রোজার দিন অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক দিনের সর্বোচ্চ  রেকর্ড হলো ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট।

গত বছর ১৯ এপ্রিল উৎপাদন হয়েছিলো এ পরিমাণ বিদ্যুৎ। এবছর গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৫শ মেগাওয়াট হতে পারে বলে ধারণা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার ৬৭ মেগাওয়াট।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS