ভিডিও

ঈদে নজরকাড়া পাঞ্জাবি কিনতে দোকানে দোকানে ভিড়

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৩, ২০২৪, ১১:১৫ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০৪, ২০২৪, ০১:০১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বছরের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই উৎসবকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে সবার মাঝেই। সেই উদ্দীপনারই একটি অংশ হলো নতুন পোশাক। ছেলেদের জন্য ঈদের স্পেশাল পোশাক পাঞ্জাবি।

যদিও অনেক আগে থেকেই পাঞ্জাবি পরার চল এসেছে মেয়েদের মধ্যেও। ঈদের দিন সকাল থাকে পাঞ্জাবির দখলে। এ পোশাক সব সময় সব বয়সীর কাছে জনপ্রিয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ অন্য পোশাক বেছে নিলেও অনেকে পাঞ্জাবিতেই কাটান বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সে জন্য ঈদে ছেলে-বুড়ো সবাই অন্তত একটি পাঞ্জাবি কেনেনই।

প্রতিবছরই পাঞ্জাবির কাট, নকশা, লেন্থ, কারুকাজ পরিবর্তন হয়। কখনও হালকা কাজের পাঞ্জাবি বেশ চলে, আবার কখনও চলে ভারি কাজের পাঞ্জাবি। কখনও লম্বায় ছোট পাঞ্জাবি, আবার কখনওবা লম্বায় বড় পাঞ্জাবি চলে। কখনও কেবল হালকা রঙের পাঞ্জাবির ট্রেন্ড থাকে, আবার কখনও হালকা রঙের পাশাপাশি গাঢ় ও উজ্জ্বল রঙের পাঞ্জাবিও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বগুড়ার পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। চৈত্রের গরম উপেক্ষা করে উৎসবপ্রিয় মুসলমানরা ছুটছেন দোকানে দোকানে। দেখছেন, পছন্দ করছেন, আর দরদাম করে কিনছেন তাদের পছন্দের পোশাক। পাঞ্জাবির বেচাকেনা জমে উঠলেও আরও জমার অপেক্ষায় দোকানিরা। যদিও সবকিছুর সাথে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই পোশাকের দামও।

এদিকে শহরের রহমান নিউ মার্কেটে প্রতি বছরই দুই ঈদে প্রায় ১৮-২০টি তৈজসপত্রের দোকান ঈদ উপলক্ষ্যে তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করে পাঞ্জাবির পসরা সাজিয়ে বসেন। এদের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী দু’তিন বছর ধরে প্রতি ঈদে ব্যবসা পরিবর্তন করে পাঞ্জাবির দোকান খুলে বসলেও, কোন কোন ব্যবসায়ী পনের-বিশ বছর ধরে এ রকম ব্যবসা পরিবর্তন করে ঈদ উপলক্ষ্যে পাঞ্জাবির ব্যবসায়ী বনে যান।

বিক্রেতা মো. হেলাল বলছেন, মোটামুটি শব-ই-বরাতের পর থেকেই তৈজসপত্র তুলে পাঞ্জাবির কারবার শুরু করা হয়। এরপর থেকে চাঁদরাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। তবে বিগত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে বেশি কথা বলতে হচ্ছে।

শহরের নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেট, বিপণীবিতান ও জলেশ্বরীতলার শপিংমলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ঈদ গরমে হওয়ায় পাঞ্জাবির কাপড় নির্বাচনে আরাম ও স্বস্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কটন, লিনেন, হাফ সিল্ক, স্ল্যাব কটন, জ্যাকার্ড কটন, খাদি, ভিসকস ইত্যাদি কাপড় পাঞ্জাবি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। নকশার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মিনিমাল ধারার।

বৈচিত্র ও নতুনত্ব আনতে এক রঙের পাশাপাশি শেইড, হালকা টাই-ডাই, কারচুপি প্রিন্ট ও চিকেনকারির জমিন দেখা যাচ্ছে। কাপড়ের সঙ্গে মিল রেখে একই রঙের সুতার কাজ এবার বেশ জনপ্রিয় নকশার ধারা। এতে আভিজাত্যের পাশাপাশি ভিন্নতাও ফুটে উঠেছে পাঞ্জাবিগুলোতে।

সিল্ক কাপড়ে কয়েক রঙের শেইড দেওয়া পাঞ্জাবির আধিক্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ফ্লোরাল প্রিন্ট ও চেকের পাঞ্জাবি। পাশাপাশি সিকোয়েন্সের কাজ করা ও চিকানের পাঞ্জাবিও এবার বেশ চলছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS