ভিডিও

দুপচাঁচিয়ায় দর্জিদের নির্ঘুম রাত কাটছে

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৬, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০৬, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : তিন থেকে চার দিন পরেই মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর। এই ঈদকে সামনে রেখে দুপচাঁচিয়ার টেইলার্সগুলো মহাব্যস্ত সময় পার করছে। ইতিমধ্যে টেইলার্সগুলো নতুন করে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্ডার নেওয়া কাপড়গুলো সরবরাহ করতে কাটার মাস্টার ও দর্জিদের নির্ঘুম রাত কাটছে।

বগুড়া পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক এলাকা হিসাবে দুপচাঁচিয়া উপজেলার পরিচিতি বিস্তৃত। যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যান্ত ভাল হওয়ায় জেলা শহরের সাথে পাল্লাদিয়ে এই উপজেলায় বেশ কিছু নামী-দামী টেইলার্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরে  সিও অফিস এলাকা, বন্দর তে মাথা, শহরতলা, পুরাতন বাজার, থানা বাস ষ্ট্যান্ড, মেইল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় শতাধিক টেইলার্স গড়ে উঠেছে। এবার রোজার শুরু থেকেই উপজেলার টেইলার্সগুলোতে ছেলেদের পায়জামা, পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট, আর মেয়েদের থ্রি পিছ, ব্লাউজ, বোরকা তৈরির অর্ডার আসতে থাকে।

রোজার শুরু থেকেই টেইলার্সগুলোতে অর্ডারের চাপ বাড়তে থাকে। এরই মাঝে অনেক টেইলার্স পাঞ্জাবি অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে লিড টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মনছুর আলী, মোমিন টেইলার্সের মালিক মিজানুর রহমান মিজান, সেঞ্চুরী টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী এসএম রায়হান জানান, কারিগরদের (দর্জির) মজুরি, দোকান ভাড়া, সুতার দাম বৃদ্ধিসহ বিদ্যুৎ ও জেনারেটরে জ্বালানী খরচ বেড়ে যাওয়ায় মজুরি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে প্যান্ট ৪৮০ টাকা, পাঞ্জাবী ৫৫০ টাকা, শার্ট ৩৮০ টাকা, মেয়েদের কামিজ ৩৫০ টাকা, থ্রি পিছ ৩৫০ টাকা, পায়জামা ১৫০ টাকা মজুরি নেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ সব এলাকার টেইলার্স এর কাটিং মাষ্টাররা গলায় ফিতা ঝুলিয়ে কাঁচি হাতে কাপড় কাঁটছে তো কাঁটছেই। যেন দম ফেলারও সময় নেই।

আর পিছনে দর্জিরা পোশাক সেলাইয়ে মহাব্যস্ত। সহস্রাধিক কারিগর (দর্জি) সেহরির খাওয়ার পর থেকে কাপড় সেলাই করছে তো করছেই। তাদের মেশিনের খট খট শব্দে এলাকা মুখরিত হয়ে থাকছে। এর মাঝেই বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং তাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারিগরদের অধিকাংশ মেশিন বৈদ্যুতিক চালিত। বিদ্যুতের লোডশেডিং এর ফলে অর্ডার নেওয়া কাপড়গুলো নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে কাটার মাস্টার আব্দুল মান্নান, লুৎফর রহমান ও কারিগর আব্দুল জলিল, মানিক মিয়া, আবুল হোসেন জানান, সারা বছর খুব একটা কাজকাম হয় না। এই রমজান মাসেই একটু কাজ হয়। অনেক কারিগরই এই রমজান মাসের জন্য অপেক্ষায় থাকে।

আর তাই কিছু টাকা বেশি আয় করতেই একটু বেশি পরিশ্রম করছে। যতো পরিশ্রম করবে ততো আয় হবে এই আশায় অনেক কারিগরই অর্ডার নেওয়া কাপড়গুলো নির্ধারিত সময়ে টেইলার্স মালিকের কাছে সরবরাহ করতে নির্ঘুম রাতও পার করছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS