ভিডিও

বগুড়ায় ঈদের আগে মাংসের দামে অস্থিরতা

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৭, ২০২৪, ০৭:৫১ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ০৮, ২০২৪, ০১:৩০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় ঈদের আগে হঠাৎ-ই অস্থির হয়ে উঠেছে সবধরণের মাংসের দাম। ব্রয়লার, সোনালি ও দেশি মুরগির দামের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গরুর মাংসের দামও।

ব্যবসায়ীদের দাবি ঈদের কারণে বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের চাহিদা বাড়ার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তারা জানিয়েছেন, চাহিদা বাড়ায় খামারিরা মুরগি ও গরুর দাম বাড়িয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে মাংসের বাজারে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে গরুর দাম নিম্নমুখি।

আজ রোববার (৭ এপ্রিল) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। তবে এই দাম বেড়েছে দফায় দফায়। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি দাম বেড়ে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সোনালি জাতের মুরগি দাম বেড়ে প্রতিকেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক দিন আগেও এই জাতের মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। দেশি মুরগি কয়েক দফায় দাম বেড়ে বর্তমানে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দাম বেড়েছে দেশি মুরগিতে।

এছাড়াও ৭৫০ টাকার নিচে মিলছে গরুর মাংস, যা কয়েক দিন আগে ৭২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। মাংস বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি দাবি করলেও, গরু বেচাকেনা করেন এমন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক মাসের মধ্যে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে গরু বেচাকেনায় দাম সর্বনিম্ন।

এদিকে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা, সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা ও গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর নির্ধারণ করে দেয়। গত ১৫ মার্চ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হয়। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পণ্যগুলোর দর বেঁধে দেওয়ার পর ২০ দিনের বেশি সময় পার হলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে ১৪৫ টাকা ৭৮ পয়সা, সোনালি মুরগি উৎপাদনে ২৪১ টাকা ৬২ পয়সা খরচ হচ্ছে। আর গরুর মাংস উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৫৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।

জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বগুড়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মমতা হক বলেন, মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রায় প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে দাম বাড়াচ্ছেন। ঈদে বাড়তি চাহিদার কারণে বাজারে অস্থিরতা তৈরির যে অপচেষ্টা তা বন্ধে আবারও বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

এদিকে ক্ষুব্ধ ক্রেতাদের প্রশ্ন-উৎপাদন খরচ কম হলেও এত বেশি দামে খুচরা বাজারে মাংস বিক্রি হচ্ছে কীভাবে? শুধু তাই নয়, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেও মুরগি ও গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কী করছে? মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে তাদের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ ভোক্তারা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS