ভিডিও

লক্ষীপুরে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৬:৪৩ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৬:৪৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

লক্ষীপুর প্রতিনিধি: শত্রুতার জের ধরে লক্ষীপুরের ভবানীগঞ্জের মেঘনা বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে জোৎসনা আক্তার নামে এক নারী নিহত হয়েছে। এসময় কুপিয়ে আহত করা হয় স্বামী আলা উদ্দিনকে। তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় প্রথমে সদর হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

রোববার দিবাগত-তিনটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহত স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রযেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহত আলাউদ্দিন একই বাড়ির মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী। অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর রব এর ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই।

স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের বসতঘরের পাশের একটি পুকুরে ড্রেজিং এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নেয় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর ৪/৫ দিন ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়িঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সাথে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সিরাজ। এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ী আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম। ওই বিরোধের জের ধরে রাত তিনটার দিকে আলাউদ্দিনের বসতঘর হামলা চালায় সিরাজ, মাহফুজ ও নিজামসহ ১৫ জনের একটি সংঙ্গবদ্ধ দল। এসময় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আলাউদ্দিন তার স্ত্রী জোৎসনা বেগমকে গুরুত্বর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আলা উদ্দিনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোৎসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলা উদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

লক্ষীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS