ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আঞ্চলিক সাতটি সড়কে যাতায়াত করা সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ঈদের চারদিন আগে থেকে কোন ঘোষণা ছাড়াই যাত্রীদের ভাড়া বাড়িয়েছে চালকরা।

ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করায় প্রতিটি অটোরিকশার চালকের সাথে যাত্রীরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ধুনট থেকে বগুড়া, শেরপুর, সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, গোসাইবাড়ি, জোড়শিমুল, সোনাহাটা, মথুরাপুর সড়কে প্রতিদিন ছয় শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলা করে।

এসব অটোরিশায় এলাকায় দৈনিক হাজার হাজার যাত্রী বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন। অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলোতে ভাড়া আদায়ের কোন নির্ধারিত তালিকা টাঙ্গানো নেই। ফলে দীর্ঘদিন থেকে চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন।

এরমধ্যে ধুনট থেকে বগুড়া ৭০ টাকা, শেরপুর ৪০ টাকা, সোনাহাটা ২৫ টাকা, সোনামুখী ১৫ টাকা এবং মথুরাপুর, গোসাইবাড়ি ও ঢেকুরিয়া সড়কে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ৩০ টাকা করে আদায় করা হতো। কিন্তু ঈদের চারদিন আগে থেকে এসব সড়কে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ১০-২০ টাকা করে বেশি আদায় করা হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ভাড়ার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকার করায় চালকদের হাতে যাত্রীরা মারধরের শিকার হচ্ছেন।

এসব সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা জানান, সড়কগুলোতে অটোরিকশা চালকরা তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন। এছাড়াও অধিকাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় লাইসেন্সবিহীন চালক রয়েছে। নেই যানবাহন চালানোর তেমন অভিজ্ঞতা। এমন অদক্ষ চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনোর কারণে সড়কে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা।

অটোরিকশার চালকরা জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে সড়কে অতিরিক্ত চাঁদা গুণতে হচ্ছে। এ কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে ৫-১০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে না। তবে এই ভাড়া আর কমার কোন সম্ভবনা নেই। তবে অটোরিকশার কয়েকজন মালিক ও স্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, এসব সড়কে ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা ছিল কিনা জানা নেই। এছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।