ভিডিও

সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি, ফিরছে নাব্যতা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৭:৩৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গতকাল বুধবার পানি একটু কমেছে। ফিরতে শুরু করেছে যমুনার নাব্যতা। সচল হতে শুরু করেছে বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌঘাটগুলো। ডুবোচরে আটকাচ্ছে না নৌযান।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকদিন বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল বুধবার সকালে পানি কিছুটা কমেছে। গত রবিবার সারিয়াকান্দিতে পানির উচ্চতা ছিল ৯.৬৬ মিটার, সোমবার ছিল ১০.১৩ মিটার, যা মঙ্গলবার হয় ১০.৩২ মিটার এবং বুধবার সকালে পানির উচ্চতা ছিল ১০.২৮ মিটার। তাই বুধবার পানি কিছুটা কমেছে।

সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৬.৭০ মিটার। তাই পানি এখনো বিপৎসীমার ৬ মিটার ৪২  সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েকমাস ধরেই এ উপাজলার যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছিল। নাব্যতা সংকটে পুরো যমুনা নদীজুড়ে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছিল। এসব ডুবোচরে চলন্ত নৌকা আটকে যেত।

এছাড়া নদীর নাব্যতা সংকটে বন্ধ হয়েছিল বেশ কয়েকটি  নৌরুটের চলাচল। সেগুলো হলো উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল আলতাফ আলীর নৌঘাট, হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া নৌঘাট, হাটশেরপুর নৌঘাট, নিজ বলাইল নৌঘাট এবং চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী নৌঘাট। এদিকে উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম সারিয়াকান্দি কালিতলা নৌঘাটেও নাব্যতা সংকট বিরাজমান ছিল।

নাব্যতা সংকটে নৌরুটটি  ড্রেজিং করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে নাব্যতা সংকটে যমুনায় নৌযান চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছিলেন চরবাসী। তবে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌঘাটগুলো পুনরায় সচল হতে শুরু করেছে। এতে কোনরূপ বাধা ছাড়াই যমুনায় নৌকা চলাচল করছে অনায়াসে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত নৌঘাটের মাঝি আলতাফ আলী বলেন, যমুনায় পানি না থাকায় গত কয়েকমাস ধরেই আমার নৌঘাটটি বন্ধ ছিল। গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌঘাটটি আবারো সচল হয়েছে।

কালিতলা নৌঘাটের ভাড়া নৌকার মাঝি আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকমাস ধরেই যমুনায় চলাচল করতে গিয়ে নৌকা ডুবোচরে আটকে যেতো। তখন যমুনায় চলাচল খুবই কষ্টকর ছিল। এখন যমুনায় পানি বাড়ায় মোটামুটি অনায়াসে কোন বাধাবিঘ্ন ছাড়াই যমুনায় চলাচল করা যাচ্ছে।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টির জন্য যমুনার পানি কিছুটা বেড়েছে। আরও কয়েকদিন পানি এরকম কমবে-বাড়বে। তারপর মে মাসের শেষের দিক থেকে একেবারে স্থায়ীভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS