ভিডিও

ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুবাগানে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত চাষিরা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ২৮৬টি লিচু বাগান রয়েছে। লিচুগাছের প্রতিটি ডাল থেকে সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছে মৌমাছিরা।

ঠাকুরগাঁওয়ের লিচুবাগানগুলোর দৃশ্য এখন এমনই। ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির আনাগোনায় খুলনা, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে এসেছেন অর্ধশতাধিক মৌচাষি। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বসানো মৌবাক্স থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা। চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার আশায় মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও।

ঠাকুরগাঁও বড়বাড়ি এলাকায় মধু সংগ্রহ করছেন মধুচাষি আবু রায়হান কথা হয় তার সাথে তিনি বলেন, আমি প্রায় দুই মাস যাবত লিচুগাছের ফুল থেকে মধুসংগ্রহ করছি। আমরা এইখানে ৬ জন মানুষ কাজ করে। সপ্তাহে একদিন মধু কাটি আমরা।

প্রতি সপ্তাহে ২শ’ থেকে ৩শ’ কেজি মধু সংগ্রহ করি। বাজারমূল্য ভাল। আশেপাশের মানুষজনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এখান থেকে মধু সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এই মৌমাছিগুলো আমার পোষা।

রাজশাহী থেকে আসা মৌচাষি নাদির ইসলাম বলেন, সিজিন এলে মৌমাছি নিয়ে আমরা এ জেলায় আসি। কারণ এ জেলায় অনেক লিচু বাগান রয়েছে। ফুল থেকে আমরা মধু উৎপাদন করি। মানুষ এখান থেকে মধু কিনে নিয়ে যায়। এখানকার মধু খুবই পরিচিত এবং খুবই ভালো। এতে কোনো ভেজাল নেই।

বড়বাড়ি গ্রামের লিচুবাগান মালিক কাউছার ইসলাম বলেন, মৌমাছির পরাগায়নের কারণে লিচুর ভালো ফলন হয়। এতে সব লিচুগাছে ফল আসে। পাশাপাশি আমরা মধু পাই। মৌচাষিরা যদি প্রতিবছর আসেন, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। সেই সাথে আবহাওয়া ভালো থাকলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হবে। পাশাপাশি আমরা লাভবানও হবো।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গাছে মৌমাছির অবাধ বিচরণে পরাগায়নে ভালো ফলন হয়। এ পরাগায়নের মাধ্যমে আমাদের লিচুর ফলন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি মধু উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে মধু চাষিও লাভবান হচ্ছেন।

আমরা আমাদের বিভাগ থেকে মৌচাষের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আমরা অনেক চাষিকেই প্রশিক্ষিত করেছি যাতে তারা যথাযথভাবে কাজ করতে পারে। মৌচাষিদের মাধ্যমে প্রায় ৩শ’ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ হবে। এ জেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ২৮৬টি লিচুবাগান রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS