ভিডিও

বোরো চাষে এক কেজি ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ৩ হাজার লিটার পানি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৭:২০ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৭:২০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর প্রতিনিধি : চলতি বোরো মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রংপুর (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেলের আওতায় ভূ-পরিস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় রংপুর বিভাগের সাত জেলায় ২৭ হাজার ৬৩১ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছেন ৫০ হাজার ১৯৩ জন উপকারভোগী কৃষক।

সেচ প্রকৌশলীরা জানান, বোরো মৌসুমে দেশের কৃষকেরা ১ কেজি ধান উৎপাদন করতে খরচ করে ৩ হাজার লিটার পানি। এতে প্রতিবছর বোরো মৌসুমে ডিজেল চালিত পাম্পের জন্য ৭ লাখ ৪ হাজার ৬৫২ মেট্রিকটন ডিজেল প্রয়োজন হয়।

আর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় ৩ হাজার ৯০ মেগাওয়াট। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কৃষকেরা ১ কেজি ধান উৎপাদনে খরচ করে ১ হাজার ৮শ’ লিটার পানি। আধুনিক পদ্ধতিতে পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে অপচয় কমিয়ে আনা সম্ভব। এতে করে কৃষকদের উৎপাদন খরচ আরও কমে আসবে।

বিএডিসি (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় ১ হাজার ২৮০টি সেচযন্ত্রের মধ্যে চালু রয়েছে ১ হাজার ৭৯টি।

এরমধ্যে রংপুর জেলায় ৪৮২টি সেচযন্ত্রের মধ্যে চালু রয়েছে ৪৪০টি, কুড়িগ্রাম জেলায় ২৪১টির মধ্যে চালু রয়েছে ১৭৫টি, লালমনিরহাট জেলায় ১৯২টির মধ্যে চালু রয়েছে ১৪৯টি, নীলফামারী জেলায় ১০৫টির মধ্যে চালু রয়েছে ৯০টি, দিনাজপুর জেলায় ২২৯টির মধ্যে চালু রয়েছে ১৯৮টি, ঠাকুরগাঁও জেলায় ১৫টির মধ্যে চালু রয়েছে ১২টি এবং পঞ্চগড় জেলায় ১৬টির মধ্যে ১৫টি সেচপাম্প চালু রয়েছে। এসকল সেচযন্ত্র থেকে চলতি বোরো মৌসুমে ৫০ হাজার ১৯৩ জন কৃষকের ২৭ হাজার ৬৩১ হেক্টর জমিতে সেচসুবিধা দেওয়া হয়েছে।

এরমধ্যে রংপুর জেলায় ১৭ হাজার ৫১০ কৃষকের ১২ হাজার ৪৬১ হেক্টর জমি, কুড়িগ্রাম জেলার ৯ হাজার ৪৮৯ জন কৃষকের ৩ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমি, লালমনিরহাট জেলার ১০ হাজার ২৯২ জন কৃষকের ৩ হাহার ৩০৩ হেক্টর জমি, দিনাজপুর জেলার ৭ হাজার ৮৭০ জন কৃষকের ৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমি, ঠাকুরগাঁও জেলার ৩৭৭ জন কৃষকের ১০১ হেক্টর জমি ও পঞ্চগড় জেলার ৫১৫ জন কৃষকের ১৬২ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বিএডিসির রংপুর (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেলের কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২শ’ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। এতে করে ৯০ হাজার কৃষক সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে।

এরমধ্যে রংপুর জেলায় খাল খনন করা হয়েছে ৮৩ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার, নীলফামারী জেলায় খাল খনন করা হয়েছে ২৬ দশমিক ২৬ কিলোমিটার, লালমনিরহাট জেলায় খাল খনন করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার ও কুড়িগ্রাম জেলায় খাল খনন করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রংপুর (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহীদুল আলম জানান, ভূ-পরিস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন ও সেচদক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পটি ২০১৭ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হয়।

বর্তমানে রংপুর অঞ্চলের ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি করণ শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন হলে এ অঞ্চলে সেচ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি হবে। এর সুফল পাবেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS