ভিডিও

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে আহত

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার নৌবাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে নাফ নদী দিয়ে ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 
সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মন্নান বলেন, গুলিবিদ্ধ জেলেরা শাহপরীর দ্বীপের ছিদ্দিকের ট্রলার নিয়ে সাগরে গিয়েছিল। গতকাল দুপুরে নাফ নদী দিয়ে ফেরার পথে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এতে তারা গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার মো. ছিদ্দিকের ছেলে মো. ফারুক ও মাঝের পাড়া আলী আহমেদের ছেলে মো. ইসমাইল। 
ট্রলার মাঝি মো. ইউসুফ বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন সাগর থেকে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এসময় শাহপরীর দ্বীপ নাইক্ষ্যংদিয়া অংশের মিয়ানমারের জলসীমানা দিয়ে দেশটির নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে দুইজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা নাফনদীর বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে, বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করেছিলাম। এরপরও তারা মানেনি। 
সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মন্নান বলেন, ফারুকের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লাগে। মো. ইসমাইল গুলিতে সামান্য আহত হন। তাদের টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
ট্রলারের মালিক শাহ পরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা ছিদ্দিক বলেন, এফবি মায়ের দোয়া নামে ট্রলারটি ১৮ এপ্রিল সকালে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে বাংলাদেশ জলসীমানায় মাছ ধরতে যায়। ট্রলারে জেলে ছিলেন ৯ জন। গতকাল মাছ নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রলারটি বদরমোকাম চ্যানেল অতিক্রম করে নাফ নদীতে ঢোকার সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে অসংখ্য গুলি ছোঁড়া হয়। 
ট্রলারে মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, কোনো ধরনের সতর্ক সংকেত ছাড়াই মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। ফিশিং ট্রলার লক্ষ্য করে ১০-১৫ মিনিটে অন্তত ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। গুলি থেকে বাঁচতে ট্রলারের জেলেরা ভেতরে মাছ রাখার একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। এরপরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে কোস্টগার্ড কিংবা বিজিবির পক্ষ হতে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। টেকনাফে কর্মরত কোস্ট গার্ড ও বিজিবির সরকারি নম্বরে কল করা হলেও তা রিসিভ হয় না। 
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওসমান গনি বলেন, বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। তাদের প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জেনেছি। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। 
নোয়াখালীতে দুই কৃষকের ধান 
কেটে ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ
নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সদর উপজেলায় প্রচণ্ড গরমে শ্রমিক সংকটে অসহায় দুই কৃষকের ৫৫ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন ও মাসুদ মিয়ার ক্ষেতে ওই ধান কাটা হয়। এতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ২০ নেতাকর্মী অংশ নেন। 
কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, উর্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিক সংকট আমাদের বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। তার ওপর চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ জমির পাকা ফসল নষ্ট হচ্ছিল। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে এসে আমার ধান কেটে দিয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি। 
ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা। যতদিন শ্রমিক সংকট থাকবে আমরাও ততদিন কৃষক ভাইদের পাশে থাকবো। 
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা বাপ্পি বলেন, অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। ছাত্রলীগ দেশের যে কোনো দুর্যোগ, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো আমরা। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS