ভিডিও

দাবদাহে মাছের রোগ বাড়ছে

পুকুরে পানি সেচ দিতে এবং অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে মৎস্য বিভাগের তাগিদ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ১১:৩৫ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ১১:৫৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলা দাবদাহের কারণে বগুড়ায় আতংকে রয়েছে মৎস্য চাষীরা। দিনের তাপমাত্রাা অতিরিক্ত হওয়ার পুকুর বা জলাশয়ের পানি গরম হচ্ছে। পানি গরম হওয়ার কারণে মাছের চলাফেরার স্থান সংকোচন হচ্ছে। ফলে পানিতে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। আর একারণেই মাছ মরে যাওয়ার আতংকে রয়েছে মৎস্যচাষীরা।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশের তাপমাত্রা সবোর্চ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এর আগের সপ্তাহে গরম থাকলেও ঈদের আগে তাপ মাত্র এত ছিলো না। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে পুকুর বা জলাশয়ের পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া এলাকার মৎস্যচাষী জাহিদুর রহমান জানান, তার একাধিক পুকুর আছে। তাপদাহের কারণে পুকুরের পানি প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি কমে যাচ্ছে। পানি কমে যাওয়ার কারনে সপ্তাহে গড়ে ৪ থেকে ৫ দিন পানি সেচ দিতে হচ্ছে।

প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পানি সেচ দিতে হচ্ছে পানির লেয়ার ছিক রাখান জন্য। এই চাষী বলেন, গরমের কারণে মাছের ফুলকাতে ঘা হচ্ছে। পুকুরে কম পক্ষে  ৫ থেকে ৭ ফুট পানি না রাখলে মাছ মরে যাচ্ছে।

বগুড়া সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, তীব্র তাপদাহের কারণে জলাশয়ের পানি গরম হওয়া স্বাভাবিক। এ সময় পুকুর বা জলাশয়ের পানি সর্বনিম্ন ৫ ফুট থাকতে হবে। কারণ পানি উপর থেকে ২ ফুট পর্যন্ত গরম হয়। নিচের পানি ঠান্ডা থাকে। ওই ঠান্ডা পানিতে মাছের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

এ জন্য পুকুরে পানি সেচ দিতে হবে। পানিতে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। মাছের জন্য খাদ্য কম দিতে হবে। খাদ্য বেশি দিলে খাবার পচে এ্যামোনিয়া বেশি হবে, অক্সিজের কমে যাবে। তিনি দিন এবং রাতে উভয় সময়ে পুকুরে পানি দেওয়ার জন্য চাষীদের প্রতি আহবান জানান।

এই মৎস্য কর্মকর্তা জানান, তারা ফেইজবুকে বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তা ছাড়া যারা তাদের কাছে আসছেন তাদেরকেও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS