ভিডিও

উল্লাপাড়ার ঘাটিনা রেলসেতুতে সিরাজগঞ্জের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৫:৫৪ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৫:৫৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : আজ ২৪ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ রেলপথে রেলপথে উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা রেলসেতুতে পাক বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় একঘন্টা ব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধ সংগঠিত হয়। সেদিন মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পাক সেনাবাহিনীর অন্তত ১৫ সদস্য নিহত হয়।

ওই দিন বেলা ৩টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে ট্রেন যোগে পাকসেনারা সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিল। পাক সেনাদের এই ট্রেন যাত্রার খবরটি সিরাজগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা আগেই জেনে যায়। সে সময়ের সিরাজগঞ্জের মহকুমা প্রশাসক একেএম শামসুদ্দিন ও ওই সময়ের তুখোর ছাত্র নেতা উল্লাপাড়ার আব্দুল লতিফ মির্জার যৌথ নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা বেলা ১১টার দিকে করতোয়া নদীর ওপর ঘাটিনা রেলসেতুর কয়েকটি রেল খুলে নদীতে ফেলে দেন।

এরপর সেতুর পূর্ব প্রান্তে শাহজাহানপুর গ্রামের পাশে করতোয়া নদী পাড়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকার খনন করে সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীকে আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করেন। পাকবাহিনী বহনকারী ট্রেনটি ঘাটিনা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে যায়।

কয়েকজন পাকসেনা সেতুর ওপর রেলপথ ঠিক আছে কিনা দেখতে ট্রেন থেকে নেমে সেতুর ওপর ওঠার পর পূর্ব প্রান্তে ব্যাংকারে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীকে আক্রমণ করে। পরে প্রায় ঘন্টাব্যাপী উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে।

এরপর পাকবাহিনী ট্রেন নিয়ে উল্লাপাড়া স্টেশনের দিকে পিছু হটে যায়। উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জানান, এ দিনের এই যুদ্ধ সিরাজগঞ্জের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃত।

প্রতিরোধ যুদ্ধের স্থানটি চিরস্মরণীয় করে রাখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঘাটিনা রেলসেতুর পূর্ব পাশে একটি নান্দনিক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS