ভিডিও

পাঁচবিবিতে আলট্রাসনোগ্রাফ রিপোর্টে যমজ, জন্ম নিল এক শিশু

ডিসি ও সিএস অফিসে অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৮:৫৯ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৮:৫৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বাগজানা (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে যমজ শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও জয়পুরহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ওই নারী এক কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে জানালো ক্লিনিক কতৃপক্ষ আর তাতেই চটে গিয়ে অভিযোগ করলো ওই নারীর পরিবার। নারীর বাড়ি  জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া এলাকায়।

জানা গেছে আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে এক ছেলে ও এক মেয়ে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেওয়া হলেও ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারিতে একটি মাত্র কণ্যা শিশু জন্ম নিয়েছে। আর এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী  আব্দুস সোবাহান।

জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন অফিসে অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের স্ত্রী ফারহানা  বেগম (২৬)র গর্ভের সন্তান পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচবিবি গ্রাজুয়েট ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড কনসালটেন্সীতে আসেন। সেখানে আলট্রাসনোগ্রাফির পরে রিপোর্ট দেখে ডাঃ মোঃ তাসরীফ হোসাইন সজল জানান, ওই নারীর গর্ভে যমজ সন্তান আছে। যার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।

এছাড়া গত ২ এপ্রিল পুনরায় গর্ভের সন্তানের নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ওই নারী।  সেখানেও আবারও আলট্রাসনোগ্রাম করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নুরে জান্নাত বলেন, ওই নারীর গর্ভে যমজ সন্তান আছে।

সবশেষ ১৮ এপ্রিল জয়পুরহাটের আনোয়ারা ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের জন্য নিয়ে  গেলে  সেখানে নরমাল  ডেলিভারিতে এক কন্যা শিশু জন্ম নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা। ভুক্তভোগী পরিবার এঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত চান।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আব্দুস সোবহান বলেন, এটি তাদের প্রথম সন্তান। সরকারি হাসপাতাল ও  বেসরকারি ভাবে আলট্রাসনোগ্রাফ রিপোর্টে যমজ সন্তানের কথা বলা হলেও ক্লিনিকে একটা সন্তান জন্ম হয়েছে বলে জানান। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত  চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে গ্রাজুয়েট ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড কনসালটেন্সীর ডাঃ মোঃ তাসরীফ হোসাইন সজলের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফজলে রাব্বীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS