ভিডিও

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১১ উপজেলায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৭:৩৫ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৭:৩৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর প্রতিনিধি : তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নসহ ছয়দফা দাবিতে তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি উপজেলায় একযোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচিতে তিস্তা পাড়ের ১১টি উপজেলার শত শত মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন ও সমাবেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিকসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২ আগস্ট রংপুরের জিলা স্কুল মাঠের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা  দিয়ে বলেছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করব। তিস্তা পাড়ের কোটি মানুষকে তিস্তা মহাপরিকল্পনার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমরা চাই স্বপ্নের বাস্তবায়ন। তিস্তার বুকে খনন কাজ শুরু করার দাবি জানান সমাবেশে।


রংপুরের তিস্তা তীরের কাউনিয়া উপজেলার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান, আশিকুর রহমান, গনেশ শর্মা, হাতিবান্ধা উপজেলায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান গনি, এড. মশিউর রহমান, লালমনিরহাট উপজেলায় সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, কেন্দ্রীয় নেতা চিত্ত রঞ্জন বর্মন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।


এসময় বক্তারা ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা চুক্তি সই ও জলাধার নির্মাণ, তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সাথে তিস্তা নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন, খনন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু করা, তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা চরের ও নদী তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষি সমবায়, ফুডপ্রসেসিংসহ কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা, তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ, নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন ও মৎস্যজীবীসহ উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসন, ভূমিদস্যু ও কর্পোরেট কোম্পানির হাত থেকে দখলকৃত তিস্তাসহ তিস্তার শাখা ও উপনদী দখলমুক্ত করা, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS