ভিডিও

তীব্র তাপদাহে মরছে মুরগি কমেছে ডিমের উৎপাদন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৭:৫২ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৭:৫২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়াসহ সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ। অস্বস্তিতে জনজীবন। মানুষের সাথে তাপপ্রবাহের বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষি ও পোল্ট্রি শিল্পেও। এমন পরিস্থিতিতে মারা যাচ্ছে পোলট্রি খামারের মুরগি। কমতে শুরু করেছে ডিমের উৎপাদন। আর এতে সংকটে পড়েছেন খামারিরা।

পোলট্রি খামারিরা জানান, প্রচণ্ড তাপদাহে মুরগি মারা যাচ্ছে। কারণ প্রতিটি খামারের টিনের চাল। আর রোদের তাপ টিন উত্তপ্ত হয়ে খামারের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যে কারণে মুরগির গরমও লাগে বেশি। গরমে মুরগি ছটফট করে স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে। মুরগিকে ঠিকমতো খাবার দেওয়া যাচ্ছে না, ওষুধ ও স্যালাইন খরচও বেড়েছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মুরগির বৃদ্ধি ও কমতে শুরু করেছে ডিমের উৎপাদন।

বগুড়া সদর এলাকার এরুলিয়া এলাকার খামারি মো. ছোটন বলেন, গরম শুরুর পর থেকে মুরগিকে বেশি খাবার দেওয়া যাচ্ছে না। মুরগিকে ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এতে মুরগি ঠিকমত বাড়ছে না। তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মুরগি স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে, ফ্যান লাগিয়েও মুরগি রক্ষা করা যাচ্ছে না।

 
সাবগ্রামের খামারি জাহিদুল হক বলেন, এমন তাপের কারণে ডিমের উৎপদান কমেছে। পাশাপাশি বাজারে ডিমের দামও কম। প্রতিদিনই স্ট্রোক করে দু’একটি করে মুরগি মারা যাচ্ছে। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। এমন গরম আরও থাকলে মুরগি টিকানো কঠিন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসরিন পারভিন বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে খামারের মুরগি রক্ষায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অফিস ও তাদের পক্ষ থেকে খামারিদের সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। খামারিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, চলমান তাপদাহ খামারে থাকা মুরগির জন্য ঝুঁকি এসময়টাতে অবশ্যই মুরগির পরিচর্যা বাড়াতে হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় ৩ হাজার ৭৬৪টি তালিকাভুক্ত মুরগির খামার থাকলেও চলমান তাপদাহে জেলায় এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ মুরগি মারা গেছে এ তথ্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে নেই।

এদিকে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ডিমের উৎপাদন কমার পাশাপাশি ডিমের দামও কমেছে। বগুড়ার বাজারে প্রতিহালি ফার্মের লাল ডিম পাইকারি ৩৬ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে তা ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বিভিন্ন কোম্পানি এসএমএস’র মাধ্যমে প্রতি পিচ ডিম ৮.৮২ পয়সা নির্ধারণ করেছে বলে বগুড়ার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়াও প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং ককরেল মুরগির কেজিতে একই পরিমাণ দাম বেড়ে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS