ভিডিও

রংপুর নগরবাসী লোডশেডিং ও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৮:১৩ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ১২:১৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর প্রতিনিধি : অসহনীয় গরম আর লোডশেডিংয়ে নাকাল রংপুরবাসী মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মশা নিধনে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় অনেকেই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নগরবাসী বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতা আর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ড্রেনগুলো পরিস্কার না করায় মশার উপদ্রব ও মশাবাহিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, ম্যালেরিয়া থেকে এলাকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য ১৮৯০ সালে রাজা জনকী বল্লভ সেন ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামা সুন্দরী খাল খনন করেন। বর্তমানে খালটি ময়লা ও আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় মশার প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

খাল সংস্কারের জন্য সরকার মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দিলেও তা নগরবাসীর কোন উপকারে আসছে না। অপরদিকে তীব্র গরম আর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ’র রংপুর গ্রিড ইনচার্জ হোসাইন মোহাম্মদ ইসতিয়াদ জানান, রংপুর জেলায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা অফপিক আওয়ারে দরকার ১৩০ মেগাওয়াট সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১১৫ মেগাওয়াট।

পিক আওয়ারে দরকার ১৫০ মেগাওয়াট সেখানে সরবরাহ রয়েছে ১৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। নেসকো তিনটি ইউনিটে ভাগ করে নগরবাসীকে বিদ্যুত সেবা দিয়ে থাকে।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, শ্যামা সুন্দরীর ধ্বংসের দায় সকলের। মশক নিধনে কিছু ওষুধ তাদের কাছে আসছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক স্প্রে এবং ফ্লাইং মশা মারার জন্য কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, শ্যামা-সুন্দরী ক্যানেলের ময়লা-আর্বজনা থেকে মশা-মাছির উৎপত্তি হচ্ছে। আমাদের সকলের কিছু নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা ক্যানেলটিতে ময়লা আর্বজনা ফেলা বন্ধ করলেই এর সুফল পাবো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS