ভিডিও

সৈয়দপুরে রেলওয়ের ফাঁকা জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ 

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৮:৪৭ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৮:৪৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের একটি পানির পাম্প হাউজের বেশ কিছু পরিমাণ ফাঁকা জায়গা অবৈধভাবে দখলে করে পাকা দোকানঘর (অবকাঠামো) নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে নিয়াজ আহমেদ বাবলু নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।

সৈয়দপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া ফুলবাগান সংলগ্ন এলাকায় ওই পাকা দোকানঘর (অবকাঠামো) নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেলওয়ের জায়গার অবৈধ দখলদার ও অবকাঠামো নির্মাণকারী শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে নিয়াজ আহমেদ বাবলুর নামে গত ২৮ মার্চ সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের পার্বতীপুর ৮ নম্বর কাচারীর ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদুল ইসলাম ওই অভিযোগ করেন। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার ঘটেছে শহরের সাহেবপাড়া ফুলবাগান এলাকার পানির পাম্প হাউজ এলাকায়। সেখানকার এক পাদুকা (সু) ব্যবসায়ী পানির পাম্প হাউজের প্রায় ১৫ শতক ফাঁকা জায়গায় রাতারাতি টিন দিয়ে ঘিরে অবৈধভাবে দখলে নেন। পরবর্তীতে সেখানে পাকা মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে সৈয়দপুর রেলওয়ের এস্টেট বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই/কার্য) শরিফুল ইসলাম রেলওয়ে পানির পাম্পের জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের খবর পেয়ে সেখানে যান। তিনি কয়েক দফা গিয়ে কাজ বন্ধ করাসহ সেখানে নির্মিত পাকা অবকাঠামো ভেঙে দেন। পরবর্তীতে তিনি (এসএসএই/কার্য) বিষয়টি রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের পার্বতীপুর ৮নম্বর কাচারীর ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদুল ইসলামকেও লিখিতভাবে অবগত করেন।

এ ঘটনায় কানুনগো গত ২২ মার্চ সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় তিনি নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে তা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে তিনি অবৈধ দখলদার নিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এরপর অবৈধ দখলদার নিয়াজ আহমেদ বাবলু গত ঈদের ছুটিতে পানির পাম্প হাউজের পুরো জায়গাটি দখলে নিয়ে সেখানে সুউচ্চ পাকা প্রাচীর (দেওয়াল) নির্মাণ করেন। তিনি সেখানে বাণিজ্যিক দোকানঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রাচীরের কাজ প্রায় শেষে পর্যায়ে। ওই দিন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও কাজের ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ওই ব্যবসায়ী রেলওয়ে পানির পাম্পের ওই জায়গাটিতে বাণিজ্যিকভাবে মার্কেট নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ী নিয়াজ আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রেলওয়ের পানির পাম্প হাউজের জায়গাটি আমার নামে আগে থেকে কৃষি হিসেবে লিজ (ইজারা) ছিল।

পরবর্তীতে আমি সেটি বাণিজ্যিক হিসেবে ইজারা (লিজ) নিয়েছি। ইতোমধ্যে ইজারার অর্থও বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে জমা করেছি। তবে পানির পাম্প হাউজের জায়গায় কিভাবে লিজ হয় এমন প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS