ভিডিও

সিরাজগঞ্জের আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৮:৫৪ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৮:৫৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন ধানের ভাল দামও রয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এমন দাম থাকলেও লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।

শস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের ৯ উপজেলায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বছরজুড়ে সিরাজগঞ্জ সদর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ এবং উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলার অনেক এলাকার মাঠে উন্নত জাতের ধান চাষাবাদ হয়। ফলনও হয় বেশ ভাল।

এরমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া উপজেলার মাঠে মাঠে আগাম জাতের পাকা ধান কাটা পুরোদমে শুরু করেছে কৃষকরা। তাপমাত্রা বেশি থাকায় মাঠের ধান অনেক আগেই পেকেছে। এখন চলছে ধানকেটে মাড়াই করে ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞ। তবে অতিরিক্ত তাপদাহে ধানকাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে অনেক এলাকায়।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ১লাখ ৪১হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হয়।

এতে চাষাবাদের পরিধিও বেড়েছে। বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার চাষাবাদের খরচ কম ও সহজ করেছে। এতে কম খরচে কৃষকরা লাভবান হতে পারছে। সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিন জানায়, তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে বিনা-২৫ ধান লাগিয়েছেন। হার্ভেস্টার মেশিনের সাহায্য সেই ধান কাটছেন।

তিনি বলেন, বিঘা প্রতি ৩০ মণ হারে ফলন পেয়েছেন। বর্তমান বাজারে এ ধান ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে তিনি লাভবান হবেন। রুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফ উদ্দিন জানায়, তিনি এক বিঘা জমিতে হিরা ধান লাগিয়েছেন। ২৮ মণ হারে তার ফলন মিলেছে।

তিনিও লাভের আশা করছেন। জানা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে নতুন কাঁচা ধান কাটারি প্রতি মণ ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা, মিনিকেট এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, এবার জেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়াসহ সব রকমের পরার্মশ ও সহায়তা দিয়েছি। মাঠে ধান কাটার হার্ভেস্টার মেশিন নামলে শ্রমিক সংকটেও সমস্যা হবে না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS