ভিডিও

কাহালুর ভোলতা হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ০৭:৩৮ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ০৭:৩৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি : কাহালুর বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা জামিউল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী মিনহাজকে (১১) পিটিয়ে আহত করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান আব্দুল হাই ওরফে ইয়াহিয়া (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। আহত শিক্ষার্থী মিনহাজ একই ইউনিয়নের শেকাহার পশ্চিমপাড়া গ্রামের ধলু প্রামানিকের ছেলে।

মিনহাজের মা মন্জুয়ারা বেগম জানান, মাদ্রাসায় তার ছেলেকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার কারইে গত শুক্রবার মিনহাজ বাড়িতে চলে আসে। এরপর রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিনহাজকে তার মা মাদ্রাসায় রাখতে গেলে মিনহাজ মারধরের কারণে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এতে মাদ্রাসার প্রধান ইয়াহিয়া চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে তার মায়ের সামনেই মিনহাজের দুই পায়ে আঘাত করে। এরপর তার মা আহত মিনহাজকে তার হাত থেকে উদ্ধার করে কাহালু উপজেলা হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। মিনহাজার মা আরো জানান ইয়াহিয়ার ছেলে সোয়াইব (২৫)এর আগেও তার ছেলেকে মারধর করেছে।

মিনহাজের বাবা ধলু প্রামানিক জানান, মাদ্রাসায় ছেলেকে দেখতে গেলে মাদ্রাসা প্রধান ইয়াহিয়া তার ছেলের সাথে ঠিকমতো দেখা করতে দেন না। মিনহাজ বর্তমানে পায়ের ব্যথায় ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারছেনা।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মিনহাজের মা মাদ্রাসা প্রধান ইয়াহিয়া ও তার ছেলে সোয়াইবের নাম উল্লেখ করে কাহালু থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এদিকে রোববার রাতেই মাদ্রাসার প্রধান আব্দুল হাই ওরফে ইয়াহিয়ার সাথে মিনহাজকে মারধর করার বিষয়ে মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা বলা হলে তিনি মিনহাজকে শাসন করার জন্য ‘সামান্য মারধর’ করেছেন বলে স্বীকার করেন।

তিনি আরো বলেন মিনহাজের ফ্যামিলি আমাদের নিজের লোক বলে আমি তাকে শাসন করেছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS