ভিডিও

ক্যাম্পাস বন্ধের প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ক্যাম্পাস বন্ধের প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: মে ০১, ২০২৪, ০৪:৪৯ দুপুর
আপডেট: মে ০১, ২০২৪, ১১:৪৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক-প্রশাসনের দ্বন্দ্ব নিরসনে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে একাত্মতা পোষণ করেছেন একজন প্রাধ্যক্ষ ও হাউজ টিউটর। এছাড়াও অন্যান্য প্রাধ্যক্ষরাও মুঠোফোনে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেন।
বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গোল চত্বরে এ মানববন্ধন করেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে ছিল, অবিলম্বে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করা। ২৭ তারিখের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা ও হল ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
এসময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন, কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর আল আমিন।
শেখ হাসিনা হলের একমাত্র হাউজ টিউটর আল আমিন বলেন, আমি নাসির ভাইয়ের সঙ্গে একমত। আমিও হল খোলা রাখবো।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাসির হোসাইন বলেন, গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলো এসেছে যেমন- হলে টাকা, অস্ত্র ঢুকছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমার হলের মধ্যে কোনো টাকা, অস্ত্র ঢুকে নাই। সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীসুলভ না। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। আমার হল খোলা থাকবে।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে। হলে শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্ররা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নোটিশ দিয়েছে এটা নিয়ে আমরা স্ট্রিক্ট না। যদি ছাত্ররা হলে থাকতে চায় তাহলে তারা থাকতে পারবে, আর যদি বন্ধের মধ্যে চলে যেতে চায় তাহলে চলে যেতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল খালি করতে যাবো না। হলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে না। তবে কেউ যেতে চাইলে, যেতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা চারটি সিদ্ধান্ত নেয়। যা হল বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শুধু জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। আজ বিকাল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS