ভিডিও

ধুনটে তাপপ্রবাহের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং, বিপর্যস্ত জনজীবন

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেক

প্রকাশিত: মে ০৩, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আপডেট: মে ০৩, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তীব্র গরমে আরও ভোগান্তি বাড়িয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎও মিলছে না।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি প্রায় ৯৫ হাজার গ্রাহকের জন্য ১৯ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে তারা বিদ্যুৎ পাচ্ছে মাত্র ৯ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়েই এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিতে  হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রচন্ড তাপপ্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। জ্বলছে না বাতি, ঘুরছে না পাখা। দিনের চেয়ে রাতে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। অনেক এলাকায় ৩০ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও আবার অনেত এলাকায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।

এতে একদিকে যেমন বাড়িতে মানুষ গরমে পুড়ছে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সেচকাজ। এ অবস্থায় বিদ্যুতের অভাবে চলতি বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় আছেন সাধারণ কৃষকরা। গৃহিণী সালমা আক্তার বলেন, রাতের বেলা বিদ্যুৎ চলে গেলে বাচ্চারা গরমে কান্না শুরু করে দেয়। বাচ্চাদের সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়।

এভাবেই প্রতিদিন চলছে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেলিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান। আমার সকল কাজ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো কোনো কাজই করা যাচ্ছে না।’

পল্লী বিদ্যুৎ-২ ধুনট উপজেলা জোনাল অফিসের এজিএম শামসুল হক বলেন, স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে এই লোডশেডিং হচ্ছে।

তাপমাত্রা না কমলে ও বৃষ্টিপাত না হলে লোডশেডিং সমাধানের কোনো উপায় নেই। জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে বুঝতে পারছি কিন্তু কিছু করতে পারছি না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS