ভিডিও

ধুনটে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরির হিড়িক

পাহারা দিতে বলছে সমিতি

প্রকাশিত: মে ০৪, ২০২৪, ১০:৪৭ রাত
আপডেট: মে ০৪, ২০২৪, ১০:৪৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাহকের মিটার, সেচপাম্প ও ট্রান্সফরমারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে। গত এক মাসে মিটার, সেচপাম্প ও ট্রান্সফরমার মিলিয়ে চুরি হয়েছে মোট ১৭টি, যার দাম প্রায় ১৩ লাখ টাকা।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সেলিম রেজার ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এরমধ্যে চিরকূট লিখে বিকাশে লেনদেনের আহ্বান জানিয়ে মিটার চুরির ঘটনাও রয়েছে।

থানা পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ থেকে সংযোগ নিয়ে গ্রাহকেরা কৃষি জমিতে সেচ কাজ, ধান ভাঙার মেশিন চালানোসহ বিভিন্ন যন্ত্র পরিচালনা করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে দূর্বৃত্তরা এসব যন্ত্রে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি করছে।

সম্প্রতি ফসলের মাঠ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরির হিড়িক পড়েছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ সব গ্রাহক  উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সেলিম রেজা বলেন, আমার ধান ভাঙার মেশিনের ১০-কেভিএ তিনটি ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা মূল্যবান কোর ও কয়েল চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়া কয়েক দিন আগে দূর্বৃত্তরা একই রাইস মিল থেকে মিটার চুরি করে চিরকুটে মোবাইল নম্বর (বিকাশ) লিখে রেখে যায়।

সেই বিকাশ নম্বরে ৬ হাজার টাকা দিয়ে মিটার ফেরত পেয়েছি। আগে ট্রান্সফরমার চুরি হলে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেওয়া হতো। নতুন আইনে ট্রান্সফরমার চুরি হলে তার সম্পূর্ণ টাকা গ্রাহককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমন আইনে আমরা গ্রাহকরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

উপজেলার মধুপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমার রাইস মিল থেকে মিটার চুরি করে চোরেরা মোবাইল নম্বর লেখা চিরকুট রেখে যায়। ওই নম্বরে ৫হাজার টাকা দিয়ে মিটার ফেরত নিয়েছি। পশ্চিমভরণশাহী গ্রামের আদর্শ কৃষক সোনা উল্লাহ জানান, ফসলের মাঠ থেকে বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প চুরি করেছে দূর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও সেচ পাম্পটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পবিস-২ ধুনট আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম শামসুল হক বলেন, চুরি বন্ধে মাইকিং লিফলেট বিতরণ সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি মিটার ও ট্রান্সফরমার পাহারার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরিসহ বিভিন্ন চুরি ও ছিনতাই রোধে পুলিশ কাজ করছে। সেই সাথে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা কিছু সেচপাম্প উদ্ধার করে গ্রাহকের হাতে পৌছে দিয়েছি।

এছাড়া মিটার চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS