ভিডিও

বাগাতিপাড়ায় পানির জন্য ভুগছে মানুষ

প্রকাশিত: মে ০৫, ২০২৪, ০৬:০৪ বিকাল
আপডেট: মে ০৫, ২০২৪, ০৬:০৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শুষ্ক মৌসুম ও অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩৫ ফুটের বেশি নিচে নেমে গেছে। এ কারণে উপজেলাজুড়ে প্রায় ৩৩ হাজার সাধারণ নলকূপ ও সেচযন্ত্রে পানি উঠছে না। ফলে মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানির জন্য তীব্র হাহাকার দেখা দিয়েছে।

উপজেলার পৌর এলাকাসহ রহিমানপুর, চকমহাপুর, সাইলকোনা, দয়ারাপুর, বাটিকামারি, ক্ষিদ্রমালঞ্চি, কালিকাপুর, জিগরী, গালিমপুর, স্বরূপপুর এবং কামারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরও শুষ্ক মৌসুমে উপজেলায় পানির সংকট দেখা দিয়েছিল। চলতি বছর এই সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

৯৬ থেকে ৯৮ ভাগ সাধারণ নলকূপ ও শ্যালো মেশিনে পানি উঠছে না। খাল-বিল, পুকুর, এমনকি বাগাতিপাড়া হয়ে বয়ে যাওয়া বড়াল ও মুসা খাঁ নদও শুকিয়ে গেছে। ফলে সুপেয় পানি পান করা, বসতবাড়িতে গোসল, রান্না ও জমিতে সেচ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।

শুধুমাত্র পানি উঠছে গভীর নলকূপ ও জল মোটরগুলোতে (সাবমার্সিবল পাম্প)। আর ওই দুই সময় পানি নিয়ে তাদের সারাদিনের কাজ চালাতে হচ্ছে।

অপরদিকে বাড়ির আশপাশের ফসলের জমিতে বাড়িতে থাকা জলমোটর থেকে সেচ দেওয়া হচ্ছে। এতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। কিন্তু দূরের মাঠের ফসল রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটি ঝরে পড়ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলাজুড়েই পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলায় প্রায় ৩৩ হাজারের বেশি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। শুধু গভীর নলকূপ ও জলমোটরে পানি পাওয়া যাচ্ছে। পৌর এলাকার ঘোরলাজ মহল্লার মাইনুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রামে ১৮৫টি বাড়ি রয়েছে।

এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি বাড়িতে জলমোটর রয়েছে। এই পাঁচটি জলমোটর থেকে পানি সংগ্রহ করে পুরো গ্রামের মানুষ চলছে। একটি টিউবওয়েলও পানি উঠছে না। আবার মাঠে যারা ধান চাষ করছেন, শেষ সময়ে পানির অভাবে তারা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন।

তালতলা গ্রামের আকরাম হোসেন বলেন, তাঁদের এলাকায় প্রায় ২০০টি সাধারণ নলকূপ আছে। এর একটিতেও পানি উঠছে না। তার নিজ বাড়ির নলকূপে পানি না থাকায় দিনে তিনবার ৩০০ থেকে ৫০০ মিটার দূরে, অন্য মানুষের বাড়ির জলমোটর থেকে পানি সংগ্রহ করছেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাইমেনা শারমিন বলেন, পানির তীব্র সংকটের বিষয়ে আমি অবগত রয়েছি। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বদলি হয়েছেন তাই কিছু করতে পারছি না। তবে নতুন প্রকৌশলী যোগদান করামাত্রই তার সাথে পরিকল্পনা করে যতদ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS