ভিডিও

সিরাজগঞ্জ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত: মে ০৬, ২০২৪, ০৬:১৬ বিকাল
আপডেট: মে ০৬, ২০২৪, ০৬:১৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম)।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল কর্মী-সমর্থক দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছেন এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ অভিযোগে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে ৫ মে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব না দিলে উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান।

অপর নোটিশের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস মার্কার গেঞ্জি পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেন বলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল অভিযোগ করেছেন।

এছাড়া ৫ মে রাতে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গ্রামের গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন কতিপয় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সাথে গোপন বৈঠক করে তার পক্ষে কাজ করার জন্য অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থী। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে ৬ মে সকালে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব না দিলে উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে এই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS