ভিডিও

গোবিন্দগঞ্জে মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজে ভবন ভাঙার শব্দ ও ধূলাবালিতে একাকার

প্রকাশিত: মে ০৭, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আপডেট: মে ০৭, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সম্প্রসারণের জন্য অধিগ্রহণের আওতায় মহাসড়কের দু’ধারের বিল্ডিংসহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে শতাধিক স্থাপনা। নিয়ম না মেনে এসব স্থাপনা একসাথে ভেঙে ফেলায় শহরের মধ্যে ভাঙন যন্ত্রের শব্দ আর ধূলাবালিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী, সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী।

সেই সাথে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় বিল্ডিং ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও রয়েছেন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কটি চার লেনে উন্নিতকরণের কাজ চলছে। এজন্য চলমান রয়েছে গোবিন্দগঞ্জ শহর এলাকার মহাসড়কের দু’ধারের জমি অধিগ্রহন ও সম্প্রসারেণ কাজ। যে কারণে মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ শহরের দু’পাশের প্রায় শতাধিক বিল্ডিংসহ নানা স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

এসব বিল্ডিং ভাঙন কাজে কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো অধিগ্রহণ হওয়া বিল্ডিংসহ এসব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বিল্ডিং ও স্থাপনা ভেঙে ফেলা কারণে সারাদিন এ কাজে ব্যবহৃত নানা যন্ত্রপাতির বিকট শব্দে যেমন শব্দ দূষণ হচ্ছে, তেমনি ভাঙার সময় ইট, সিমেন্টের গুড়া মিশ্রিত ধূলাবালি পার্শ্ববর্তী এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে বাড়ি ঘরে রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অতিষ্ট এলাকাবাসী পথচারী ও সাধারণ মানুষ।

তবে বেশির ভাগ ভবন মালিক বলছেন, তাদের জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখনো বেশির ভাগ ভবন মালিক জমি ও অবকাঠামোর অর্থ হতে পাইনি। তাই তারা নিজেদের সাধ্যমত কাজ করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহনের আওতায় থাকা স্থাপনা অপসারণে অভিযান পরিচালনা করায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মুকিতুর রহমান রাফি চলমান অধিগ্রহনের কারণে পৌরসভার অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগ করে বলেন, শহরবাসী সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে বায়ু দূষণে। বায়ু দূষণ রোধে ভবন মালিকসহ সকলেই সচেতন হবেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন এমনটি দাবি পরিবেশপ্রেমি ও এলাকাবাসী।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS