ভিডিও

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি

প্রকাশিত: মে ০৯, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আপডেট: মে ০৯, ২০২৪, ০৮:২৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি। এই বিভাগে ৪৮১জন এইচআইভি পজিটিভের মধ্যে সিরাজগঞ্জের ২১৬জন এবং বগুড়ায় ৫৯জন রয়েছেন। তবে সবচেয়ে কম রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। ওই জেলায় এ পর্যন্ত মাত্র ১১জন এইচআইভি পজিটিভ রোগী রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ায় এইচআইভি/এইডস বিষয়ক সচেতনতা ও এইচআইভি সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সম্পর্কিত কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের (এএসপি) এর আয়োজনে এবং বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বাস্তবায়নে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ জলফিককার আলম। সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় এইচআইভি ও এইডস বিষয়ে ভিডিও স্লাইড প্রদর্শন এবং আলোচনা করেন বগুড়া শজিমেকের সহযোগী অধ্যাপক এবং চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ ছাইদুর রহমান।

ডাঃ ছাইদুর রহমান তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন, বাংলাদেশে বর্তমানে এইচআইভি পজিটিভের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার দশমিক ০১ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে দেশে ১৯৮১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে ১৫ হাজারের কিছু বেশি এইচআইভি সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসার আওতায় রয়েছেন ১০ হাজার ৯৮৪জন। এইডস আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮ জনের। শুধুমাত্র ২০২৩ সালে এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৬জন।

বগুড়ায় ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এইচআইভি পজিটিভ সনাক্ত হয়েছেন ৫৯জন। এরমধ্যে মারা গেছেন চারজন। বর্তমানে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার আওতায় রয়েছেন ৫০জন। এরমধ্যে ১২জন নারী রয়েছেন। ২০২৩ সালে জেলায় এইচআইভি পজিটিভ সনাক্ত হয়েছেন ৯জন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের ৪৮১জন পজিটিভের মধ্যে সিরাজগঞ্জে শনাক্ত হয়েছেন ২১৬জন। ২০২৩ সালে ওই জেলায় শনাক্ত হয়েছে ১৭৫জন। এছাড়া রাজশাহীতে ৫৬, পাবনায় ৫৮, নাটোরে ৩২, নওগাঁয় ৩১, জয়পুরহাটে ১৮ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১১জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

কর্মশালায় বলা হয়, এইডস নিরাময়যোগ্য না হলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশ্বব্যাপী আধুনিক ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্ভাবনের ফলে এইডসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। এই ভাইরাস শরীরে দশ বছর পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থাই শ্রেয়। দেশে সরকারি পর্যায়ে বিনামূল্যে এ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থাসহ যাবতীয় চিকিৎসা করানো হয়। এই চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল, যা সরকার সম্পূর্ণ বিনে পয়সায় করছে। 

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে সরকার দেশের ২৭টি জেলার ২৮টি হাসপাতালে এইচআইভি আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকলেও ২০২৫ সাল নাগাদ ৬৪টি জেলায় জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শাহানাজ পারভীন, এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের এইচআইভি আইভি কাউন্সিলিং কো-অর্ডিনেটর ফৌজিয়া ইয়াসমিন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS